পোস্টগুলি

এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ২* এখানেও মানুষ থাকে।** রেহমান রুদ্র।।

ছবি
  এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ২*  এখানেও মানুষ থাকে।  রেহমান রুদ্র। আজ স্ট্যান্ডবাই ডিউটি। ভোর ছটায় অ্যালার্ম দিয়েছিলাম। এ ধরনের ডিউটিতে কাজের ইউনিফর্ম বেগেজ পুরোপুরি রেডি থাকে। যে কোন সময় ফ্লাইটের জন্য ডাক আসতে পারে। আজ তাই হল। ওয়াসরুমে মনোযোগ দিয়ে দাঁতের পরিচর্যা করছিলাম। আমার এক অদ্ভুত অভ্যাস আছে। আয়নার দিকে তাকিয়ে ব্রাশ করা। তক্ষুনি মোবাইল ফোন বেজে উঠলো। হ্যাঁ কাজের ফোন। ডিউটি কল। “ক্যাপ্টেন তোমাকে বেইজিং ফ্লাইট অপারেট করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন্স সেন্টারে চলে এসো।“ বেইজিং হচ্ছে চায়নার বিখ্যাত এক শহর।এই শহর স্থাপিত হয়েছিল তিনহাজার বছর আগে। এটাকে তখন ‘ জিন সিটি’ বলা হত। ব্রেকফাস্ট করার আর টাইম নেই। ইউনিফর্ম গায়ে চাপিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে রাওনা হলাম। অপারেশন সেন্টারের পাশেই রয়েছে বেশ ভালো কফিশপ। প্ল্যান করলাম ওখান থেকে ব্রেকফাস্ট পিক করে নেবো। ওদের কফি বেশ চমৎকার। ফ্লাইট অপেরেশনে আমার সহকারী পাইলট বেইজিং ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সমস্ত কাগজপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। খুব দ্রুত ব্রিফিং শেষ করে মেডিকেল রুমে যেতে হল। ওখানে কোভিড উনিশের টেস্ট হবে। যথারীতি স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল

এক্সক্লুসিভ*বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি*১*- এলেক্সের প্রতি ভালবাসা। রেহমান রুদ্র ।।

ছবি
  এক্সক্লুসিভ*বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি*১*-  এলেক্সের প্রতি ভালবাসা।  রেহমান রুদ্র ।।   ফুজি মাউন্টেইন - জাপান ~~~ ফুয়েল সেভিং এর উদ্দেশ্যই ছিল প্রধান তাই চীনার উরুমকি শহর কে পেছনে ফেলে মঙ্গোলিয়া ঘেষে এগুচ্ছিলাম। নিচে মাটিতে মিলিটারি এরিয়া সুরক্ষিত। এজন্য আমদের ফ্লাইট পথের বেশ কটা শার্প টার্ন রয়েছে এখানে। প্রথম টার্ন নিতেই সামনে ওয়েদার রাডার এ বিদ্যুৎ আর বিজলিতে পরিপূর্ণ মেঘের বিশাল ওয়েদার প্যাটার্ন দৃষ্টিগত হল। বলা বাহুল্য এমন গভীর রাত আর আকাশে বিদ্যুত এর ঝলকানি ভয়ের কারন হতে পারে। মিলিটারি এলাকার কারনে আমাকে রুট এর বাইরে যেতে দিচ্ছিল না। শেষমেশ নিজের স্পেসাল ক্ষমতাবলে ওদেরকে নিরাপত্তার কারনে ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তনে বাধ্য করানো হল।এ এক অদ্ভুত টানাপোড়ন । নিচে রয়েছে গোলাগুলির ভয় আর উপরে ভীষণ মারদাঙ্গা ঝড় তুফান। আমি পৃথিবীর আর কোথাও এত মিলিটারি কন্ট্রোলের এয়ার স্পেস দেখিনি। এ ধরনের অবস্থাতে পাইলটকে কালার কোডিং ও অন্যান্য সিগন্যাল দেখে জানতে হয় কোন দিকটি ফ্লাই করা নিরাপদ। আমাদের গন্তব্য জাপানের টোকিয়ো সিটি। টোকিয়োর কাছাকাছি আসতেই সূর্যের আলো উঠি উঠি করছে । কি সুন্দর তার রূপ। ঝকঝকে আকাশে কাচা

বাঙলা বানানে ভাইরাস-১২- আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  ## A hellojanata.com Presentation.##  বাঙলা বানানে ভাইরাস   আবদুল হাকিম    প্রথম লেখা - ২০০৩  সঙস্করন - ২০২১      ১২ প্রত্যেকটি অক্ষরের একটি সতন্ত্র চেহারা আছে । ছোটবেলা থেকে শিখে এসেছি - হ্রস্ব-ই, দির্ঘ-ঈ । দন্ত্য-ন, মুর্ধন্য-ণ । দন্ত্য-স, তালব্য-শ, মুর্ধন্য-ষ । অক্ষর মুখে উচ্চারন করার সময় আমরা সেই চেহারাটি দেখতে পাই না । তাই বলে দিতে হয়, এটা হ্রস্ব-ই বা দির্ঘ-ঈ অথবা দন্ত্য-স বা তালব্য-শ । কিন্তু যখন অক্ষরটি লিখে প্রকাস করছি, তখন’তো তাকে আমরা সশরিরে দেখতেই পাচ্ছি, তাই তখন অক্ষরটির ওই গুনাবলি বা মাহাত্ম্য বর্ননার অবকাস আছে বলে মনে হয় না । এখানে আরও কয়েকটি অক্ষরের দিকে একটু লক্ষ্য করি - ক / খ, জ / ঝ, ট / ঠ, ত / থ, দ / ধ, প / ফ, র / ড়  । এই অক্ষরগুলোর প্রত্যেকটির সাথে প্রত্যেকটির উচ্চারনগত পার্থক্য স্পষ্ট, তাই অক্ষরগুলো বোঝাতে অন্য কোন গুনাবলি বা উচ্চারনস্থান বর্ননার প্রয়োজন পড়ে না । পক্ষান্তরে ই / ঈ, উ / ঊ, ন / ণ, স / শ / ষ, এই অক্ষরগুলোর উচ্চারন একই, তাই এই অক্ষরগুলোর খেত্রে এর উৎস বা উৎপত্তি অথবা অন্য পরিচয় প্রকাস করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে । উচ্চারন অভিন্ন হবার কারনেই এই অক্ষরগুলো বানান ব

প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ২০ - করাতি সম্প্রদায় এখন বিলুপ্ত!! # আকরাম উদ্দিন আহমেদ ।।

ছবি
##  A hellojanata.com Presentation. ##  প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় -২০ ।। করাতি সম্প্রদায় এখন বিলুপ্ত ।। # আকরাম উদ্দিন আহমেদ । 'করাতি সম্প্রদায় এখন বিলুপ্ত ।।' করাতি সম্প্রদায় আজকাল আর নজরে পরেনা। কালের পরিক্রমায় এবং জীবন জীবিকার তাগিদে তারা তাদের পেশা পরিবর্তন করেছেন। করাতি হলো এক শ্রেণীর সনাতন পেশাদার। তারা সাধারণত গাছ কেটে কাজের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন নির্মাণ কাজের জন্য কাঠ প্রস্ত্তত করেন। কাঠ চেরাই-এর 'করাত' থেকে করাতি নামের উৎপত্তি। করাতিরা তাদের কাজে করাত, দড়ি, কুদাল, বাটাল, হাতুড়ি এবং খিল জাতীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। করাতিরা সাধারণত চারটি বাঁশ অথবা কাঠের খুটি গেড়ে ৭/৮ ফুট উঁচু একটা টং মতো বানাতেন। কোন কাঠ অথবা গাছের কর্তিত অংশ ঐ টং-এ তুলে একজন উপরে আর দুইজন অথবা একজন নীচে দাড়িয়ে করাত চালিয়ে তাদের কাঠ চেরাই  করতেন। অঞ্চল ভেদে অনেকে আবার দুটি খুটি গেড়ে একটি বাঁশ আঁড়াআঁড়ি বেঁধে গোল পোস্টের মত করে সেখানে গাছের টুকরাটি ফেলে চেরাইয়ের কাজটি করতেন। সে সময় কাঠ চিরতে আকার ও প্রকার ভেদে বর্গফুট হিসেবে মজুরি নিতেন করাতিরা। করাতিরা প্রতিবছর সুস্ক মৌসুমে বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল

সব পেয়েছির দেশে ।। ৩৫।। আবদুল হাকিম ।।

ছবি
    ## A hellojanata.com Presentation.##  সব পেয়েছির দেশে ।। ৩৫ আবদুল হাকিম ।। আমেরিকার যে জিনিসটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে, তা হচ্ছে ড্রাইভিঙ । আহা, এত পরিচ্ছন্ন আর নিশ্চিন্ত ড্রাইভিঙ অন্য কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই । যেমনি পেলব রাস্তা, তেমনি নিয়ম কানুন সৃঙ্খলা । ঘণ্টার পর ঘণ্টা ড্রাইভ করে যাও, কেউ করেনি মানা । সুধু গাড়িতে তেল থাকলেই হল । তবে একটু সাহস থাকতে হবে । আইন ও নিয়মকানুনের প্রতি থাকতে হবে একশো ভাগ স্রদ্ধাসিল । একটু এদিক ওদিক করেছ’তো এক্সিডেন্ট করে মরবে, নয়তো কোন দিক থেকে ভোঁ বাজিয়ে পুলিস এসে ধরে ফেলবে বুঝতেই পারবে না । তারপর জরিমানা । ড্রাইভার্স লাইসেন্সটাও হারাতে হতে পারে চিরতরে । হঠাত হঠাত চোখে পড়বে পুলিসের গাড়ি বিভিন্ন পয়েন্টে ঘাপটি মেরে ওত পেতে আছে । স্রোতের মতো চলেছে অজস্র গাড়ি ফ্রি হাইওয়ে নাইনটি ফাইভে । ষাট থেকে আশি নব্বই মাইল স্পিড, অথচ নির্দিষ্ট একটা নিরাপদ দুরত্বে আছে সবাই । কোন কারনে যদি জ্যাম লেগেই যায়, তবুও ওই দুরত্ব ঠিকই বজায় থাকবে । আমিও গাড়ির এই স্রোতে মিশে গেছি । মেরিল্যান্ড থেকে নিউজার্সি । সেজভাই ডাঃ হাফিজের বাড়িতে । ভাই বোন যারা এখানে আছি সবাই একসা

‘বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি’ ৩২'- স্পেনের ঘটনা- বাঙালি বৈমানিক রেহমান রুদ্র ।।

ছবি
  'স্পেনের ঘটনা' বাঙালি বৈমানিক রেহমান রুদ্র ।। তৎকালীন আন্দালুসিয়ার শহর যারাগোযা। এটা স্পেনের উত্তর পূর্বদিকের এক শহর। এই সময়টায় ইউরোপের সবখানে আবহাওয়া খারাপ থাকে। আজও তাই হল। বেলজিয়াম থেকে রাওনা দিয়ে এয়ারপোর্টের প্রায় ত্রিশ মাইল দক্ষিনে বিশহাজার ফুট উঁচুতে আকাশে একটি নির্দিষ্ট এরিয়াতে চক্কর দিচ্ছিলাম। এক্সপেরিয়ান্স থেকে বুঝতে পারি কোন অবস্থাতেই এখন এপ্রচ করা ঠিক হবেনা। ঐ মুহূর্তে ঝড়বৃষ্টি ঠিক রানওয়ের উপর দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছিল। ওয়েদার রাডার সিস্টেমে তখনো বিপদের সিগ্ন্যাল। ইউরোপের একটি এয়ারলাইন বোইং ৭৩৭ রানওয়েতে নামতে গিয়ে ঝড়ের মধ্যে বাড়ি খেয়ে দিশেহারা হয়ে কি করবে তা বুঝে উঠতে না পেরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সাহায্য চাইছিল। বিদ্যুৎ ঝলকানির কারনে কমুনিক্যাশনে শব্দ কেটে যাচ্ছিল। ওখান থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হাজার হাজার মাইল দূরে অপারেশন সেন্টারে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে খবর পউছে দিলাম। তাদের জানালাম আর কতক্ষন এমন রাগান্বিত আকাশে অপেক্ষা করতে পারবো। বিমানের জ্বালানি হিসাব করে রাখা পরিমানের কাছাকাছি আসলে এর মধ্যে যদি ল্যান্ড করা সম্ভব না হয় তবে ডাইভারসন নিয়ে অন্য এয়ারপোর্টে ল্

'বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি- ৩৩-স্পেনের ঘটনা ; বাকি অংশ ।বাঙালী বৈমানিক রেহমান রুদ্র।

ছবি
  ## hellojanata.com Present’s ## বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি- ৩৩। স্পেনের ঘটনা ; বাকি অংশ । বাঙালী বৈমানিক   রেহমান রুদ্র। পকেটের সেলফোন বের করে পুলিশের ইমারজেন্সিতে কল করব কিনা ভাবনাটা আসতেই তা বাতিল করে দিলাম। একেত ভাষাগত সমস্যা তার উপরে ওদের যদি কেউ কিছুটা ইংরেজি বলতে পারে তাতেও বুঝানর জন্য সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাছাড়া পিছুকারিরা আইফোন সবার আগে কেড়ে নিয়ে যাবে এটা ধারনা করা যায়। পুলিশের অপারেটর লাইন ট্রান্সফার করতে না করতে এদিকে যা ঘটার তা ঘটে যাবে। হাটার গতি আর বাড়ানো সম্ভব না। এর পরে দৌড়াতে হবে। বয়সে তরুন পিছুকারি দুজন অনেক কাছে চলে এসেছে। বহু কষ্টে মনকে চেপে রেখে দৌড়ে যাবার ইচ্ছা বাতিল করে দিলাম। মনেপ্রানে সৃষ্টিকর্তাকে বলছি যেকোনো ধরনের হেল্পের জন্য। রাস্তার অন্যদিক দিয়ে একটা পুলিশকার দ্রুত বেগে চলে গেল। প্রচণ্ড জোরে হাঁটছি তাই ইশারা করার সময় পেলাম না। রাতের বেলা আর কভিডের কারনে মানুষজন চোখে পড়ছে না। বিপদ যখন আসে তখন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়েই আসে। ঢাকায় বহুবছর আগে ভোরবেলা পার্কে হাটতে গিয়ে দুরথেকে এক ভদ্রলোকের ঘড়ি মানিব্যাগ ছিনতাই দৃশ্য দেখেছিলাম। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনা ঘটে যায়। দুই ছিন