পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সোনালী সকাল …… কমলা মাইগ্রেন # নন্দিনী সাবরিনা খান ।।

ছবি
  সোনালী সকাল …… কমলা মাইগ্রেন # নন্দিনী সাবরিনা খান ।। ——————————- বাইরে সোনালী রোদ …শহর ভর্তি সব গাছে আগুন রঙ … এই রঙ লেন্সে ধরেনা …বর্ণনায় আসেনা …এক গাছেই তিন চারটি রঙ উপছে পড়ছে … কিছু গাছ পাতা ঝরাচ্ছে …আমাদের ফল সিজন …পাতা ঝরার সময় …!!!!!! জানালার এপাশে হলুদ মাইগ্রেন আজ তিন দিন হাতুড়ি পেটাচ্ছে কপালের বাম পাশে … নিজেকে অযত্ন করা এই আমি কোনো কোনো মাইগ্রেন সময়ে অলস মায়ায় কপাল ছুঁই … হাতের আঙুলে পরাজয় ছুঁয়ে যায় শুধু । কারন বাঁধভাঙা মাইগ্রেন মায়া বোঝেনা …এক একদিন মনে হয় নিজেই হাতুড়ি দিয়ে দু ভাগ করে ফেলি কপাল থেকে মাথার অংশ টুকু …অসহ্য যন্ত্রনায় খুলে দেখি ভেতরে কি আছে …? ছোপ ছোপ কালো কষ্ট …? অবহেলা …? অযত্ন …? ভালোলাগা বলতে না পারা …? অমল ধবল ভালোবাসা …? সুতো র মতো মায়া …? নির্লিপ্ততা …? হারানো বিকেল অথবা রূপালি জ্যোৎস্না …?? অস্থির সময় কাটে তখন… সমস্ত পেইন কিলার ব্লেন্ড করে গিলতে থাকি … বলাতো যায় না কোনটা ভালো কাজ করবে …গত তিন দিনে ২১ টা পেইন কিলার খেয়েছি … আর আপন বসার জায়গাটায় বসে থেকেছি শুন্য অনুভুতি নিয়ে …… ওই সময়টায় আসলে মনোযোগ থাকেনা …কিছুই থাকেনা নির্লিপ্ত

“চৈত্র সংক্রান্তির গা ছুঁয়ে বৃষ্টি নামুক তোমার শহরে” নন্দিনী সাবরিনা খান।।

ছবি
“চৈত্র সংক্রান্তির গা ছুঁয়ে বৃষ্টি নামুক তোমার শহরে” নন্দিনী সাবরিনা খান।।   চৈত্র সংক্রান্তির গা ছুঁয়ে বৃষ্টি নামুক তোমার শহরে বর্ষ বিদায়ের আয়োজনে শিখে নিয়েছি ইস্তেখারার নিয়ম …!!!! নুহের প্লাবন আর একবার এসে ভাসিয়ে নিক প্রিয় সব গান , প্রিয় শার্ট ,প্রিয় চায়ের কাপ ঘন কালো মেঘ ঢেকে দিক শহরের সব কটি নিয়ন লাইট আমার শহরে এখন গোলাপি , লাইলাক চেরি ব্লোজম সোনালী রোদ ,সবুজ পাতা ,হলুদ বসন্ত দিন এবার বদলে যাক প্রথাগত শুভাশিস তোমার সর্বনাশে আমার পৌষ মাস ……!!!! অলস এই দুপুরে নিস্তেজ ফায়ার প্লেস এর জন্য মায়া হয় …। আহা উষ্ণতা বিলিয়ে এখন ক্লান্ত অসুস্থ এক অস্থির সময় পৃথিবীর হাত আঁকড়ে আপন মনে হাঁটছে … পরিচিত ম্যাপল ট্রি থেকে কোনো কাঠবেড়ালি আজ কান পাতেনি সবুজ ঘাসের বুকে----   দরজা খুলে বাইরে দাঁড়াই …হাল্কা শীতল বাতাস চোখ পোড়ায় …… যতদূর দেখা যায় , কেউ নেই …।!!!! মানুষ এখন মানুষ কে ভয় পায় … আমার এখানে নিয়মের বাইরে কেউ যায়না …. তাই এই নির্বাসন । ফুস ফুসের যত্নে ব্যাস্ত সবাই …আহা ড্রাইভ ওয়ে তে প্রিয় গাড়ি টি ছুঁয়ে দেখিনি তাও অনেক দিন …অভিমান জড়িয়ে আছে সারা গায়ে … টের পাই পাখিদের নাম জানলে ভালো হোতো সারাটা ডান

সময়ের দাবি# বাংলাদেশের দাবি- বাঁচাও ক্রিকেট । #মুসা কামাল ।।

ছবি
   সময়ের দাবি# বাংলাদেশের দাবি- বাঁচাও ক্রিকেট । #মুসা কামাল ।। তারা কেমন মানুষ ? তারা যে ‘ আমরাও মানুষ’ বলে দাবী করলেন , তারা কি একবারও ভাবলেন না যে তাদের কর্ম কাণ্ডের ফলে দেশবাসী আর দেশের মানুষ গুলো কোন দুঃখের সাগরে ভাসবেন ? কি আশ্চর্য কথা ! এদের লেখাপড়া , পরিবার আর তাদের বেড়ে উঠার কাহিনী নিয়ে সন্দিহান যে কেউ হতেই পারেন । ” আমরা ভাল খেলতে চাচ্ছি , কিন্তু খেলতে পারছি না — এ কথা বলে নিজেদের দৈন্যতা ফুটিয়ে তুললেন আর এক ক্রিকেটার । স্বাভাবিক প্রশ্ন একজন সাধারন মানুষ করতেই পারেন — তবে আর যাওয়ার দরকার কি ছিল ? পাবলিক কি চায় ? তারা ভাল খেলা চায় ! তারা বিজয় চায় ! আর অতটুকুই নয় কিন্তু ! তাঁরা দেশ নিয়ে বুক উঁচিয়ে দাড়াতে চায় — এটা আসল কথা । তারা কোন ‘আয়নার ‘ কথা বললেন । তারা বললেন ‘ যারা সমালোচনা করছেন তারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন ” ! অনেক বড় দুঃসাহস এদের ! নিজের বাসায় যে ভাঙ্গা আয়নায় মুখ দেখে দেখে বড় হয়েছে এরা, এখনো সেই আয়না হয়তবা বদলাতে পেরেছেন অথবা পারেন নাই — আর সেই কারনেই এই সাহস । শ্লোক বলছে ‘ তোমাকে বধিবে যে , গোকুলে বাড়িছে সে — আজ সেই শ্লোক সত্যি হয়ে গেল — আমাদের ভাল বাসায় , আমাদের ক্র

সব পেয়েছির দেশে # ৩২# বাল্টিমোর থেকে আবদুল হাকিম ।।

ছবি
সব পেয়েছির দেশে।। # ৩২# আবদুল হাকিম ।। ঢিলেঢালা দোকান । তেমন একটা ব্যস্ততা নেই । এটা ওটা করে সময় পার করে যাচ্ছি । পাশের সু ডিপার্টমেন্ট থেকে নিকোল এগিয়ে এলো । হ্যালো আবদুল, হাউ আর ইউ ? ওর সাথে আমার একটা খায় খাতির হয়ে গেছে । ভালোমন্দ দু’একটা কথাবার্তা চলে । ও জিজ্ঞেস করলো, এক মাস উপবাসের পর ইদ উৎসব কেমন হল ? আমি বললাম, ভালোই কেটেছে । ওয়াশিঙটন ডি সি ভ্রমনের কথাও বললাম । তারপর ও আমার কাছে রোজার তাৎপর্য সম্বন্ধে জানতে চাইলো । আমাদের ধর্মে কেন এই রোজা বাধ্যতামুলক ? আমি বললাম, দেখো নিকোল, আমি কোন ধর্মিয় স্কলার নই । সাধারন ভাবে আমি যা বুঝি তাই তোমাকে বলতে পারি । – বেশ, বল দেখি । আমি বললাম – প্রত্যেক মানুষের ভিতর কিছু না কিছু পশুবৃত্তি থাকে, যার কারনে পৃথিবিতে বিভিন্ন রকম অপরাধ, অঘটন ঘটে থাকে । এই পশুবৃত্তিকে দমন করার জন্যই মুলত আমাদের ধর্মে এই বিধান । বাহ্যিক ভাবে আমরা সারদিন না খেয়ে থাকাটাই দেখি । কিন্তু না খেয়ে থাকাটাই একমাত্র বিষয় না । নিজেকে কন্ট্রোল করাই এর মুল উদ্দেশ্য । সে ক্ষেত্রে শারিরিক কন্ট্রোল একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়তো বটেই । অনেক ধরনের অসুখ বিসুখ থেকে রোজা মুক্তি এনে দেয় । এ ছাড়া

বাঙলা বানানে ভাইরাস -৭- আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  বাঙলা বানানে ভাইরাস -৭-  আবদুল হাকিম ।।  প্রথম লেখা ২০০৩-  সঙস্করন – ২০২১ একই শব্দে দুই রকম বানান ! ব্যাপারটা হাস্যকর বলেই মনে হয় । এর ফলে সুধু জটিলতাই সৃষ্টি হয় । দুটি বানানই যদি শুদ্ধ হয়, তাহলে একটিকে বেছে নিলেই হয় । আর তাই যদি হয়, তাহলে ঈ-কারের দরকারটা কি ? ই-কারে ঈ-কারে যদি উচ্চারনে বা অর্থ বহনে কোন পার্থক্য থেকেই থাকে, তাহলে’তো এমনটি হতে পারে না । জরুরি ও জরুরী এ’দুটি শব্দের অর্থও’তো ভিন্ন হয়ে যাবে । গুনিজনেরা বলেন, প্রত্যেকটি অক্ষরের একটি স্বতন্ত্র উচ্চারন ও অর্থ নিয়ন্ত্রন খমতা আছে । যথার্থ । যদি তাই হয়, তাহলে’তো বানান ভুল হবার কথা না । সে খেত্রে একই শব্দে দুই রকম বানান কিভাবেই বা মেনে নেয়া সম্ভব ? সেই কবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গাড়ি বাড়ি পাখি বানানে ই-কার ব্যবহার করে গেছেন, কিনতু আজও আমরা এই বানানগুলো লিখতে ই-কার না ঈ-কার হবে তা নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলি । যেমন কবি সমুদ্র গুপ্তের ” সাত সমুদ্র ” কাব্য গ্রন্থের একটি কবিতায় তিনি লিখেছেন, ” ——– তুমি আমার বাড়ীতে এসো । ” পৃষ্ঠা – ৪২ । একই গ্রন্থে অন্য একটি কবিতায় তিনি লিখেছেন, “—— বিশাল বাড়ি কপাট বিহীন । ” পৃষ্ঠা – ৪৫ । এখানে তিনি বাড়ি লিখ

বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি ।। ৩১ ।। বৃষ্টি ভেজা লাক্সেমবার্গ। রেহমান রুদ্র।।

ছবি
  বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি ।। ৩১ ।।  বৃষ্টি ভেজা লাক্সেমবার্গ।  রেহমান রুদ্র।। বেশ কিছুদিন পর আবারো এলাম লাক্সেমবার্গ। ইউরোপের এই পাহাড়ি শহরে বিকেল এলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নিয়ে। ছোট্ট এ দেশটিকে ঘিরে আছে বেলজিয়াম ফ্রান্স আর জার্মানি। পাঁচ লক্ষের মত মানুষের আবাসভুমি। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানরা এ দেশটিকে তাদের দখলে রেখেছিল। বর্তমানে লাক্সেমবার্গ ইউরোপের পাওয়ারফুল ইনভেস্টম্যান্ট ম্যানেজম্যান্ট সেন্টার। এয়ারপোর্টের রানওয়েতে বেশকিছু বিজনেস জেট পার্ক করা দেখে বিষয়টি সহজেই অনুমান করা যায়। ল্যান্ডিং করার সময় বৃষ্টির ফোয়ারা এয়ারক্রাফটকে বিনা খরচে ধুয়ে দিল। পাহাড়ি এলাকা হবার কারনে রানওয়ে পুরোটা সমতল করে বানাতে পারেনি। উঁচুনিচু হবার জন্য পাইলটকে দক্ষতার সাথে বিমানকে টাচডাউন করাতে হয়। ভূমি স্পর্শ করার পরপর ককপিট থেকে সামনে দেখলে মনে হবে হটাত করে রানওয়ে বুঝি শেষ হয়ে গেল। হাম্প এর কারনে সামনে কিছু দেখা যায়না। এটা পাইলটের জন্য অস্বাভাবিক একটি বিষয়। বিমান তার গতি নিয়ে ল্যান্ড করার পরে যদি পাইলট তার দিব্যদৃষ্টিতে সামনে দেখতে না পায় তখন তার ফিলিং কি হয় তা পাইলটের পক্ষেই বলা সম্ভব। ঐ উঁচুভাগ ক্রস

#জীবন_থেকে_নেয়া -# বার্ধক্য।। বনলতা বোস মোনা ।।

ছবি
  #জীবন_থেকে_নেয়া -# বার্ধক্য।। বনলতা বোস মোনা ।। আমার কলোনীতে এক বিশাল সংখ্যা হলো সিনিয়র সিটিজেনর । সবাই রিটায়ার্ড , মোটামুটি ষাটোর্ধ্ব । ওনারা বিকেল বেলায় ক্লাব হাউজে এসে কেরাম খেলে আর আড্ডা মারে । আমি বিকাল বেলা ব্যাডমিনটন খেলতে যাবো , হাতে র ্যাকেট , পরনে কেডস , তারপরও ওনারা আমাকে ডাকতেন , বলতেন দুই গেম কেরাম খেলে যা । আমি ওনাদের ডাকে কেরাম খেলতে বসে যেতাম , আধ ঘন্টা লেটে পৌছাতাম ব্যাডমিনটন কোর্টে । আমি যাবার পরে কোন এক অজানা কারনে ওনাদের উৎসাহ বেড়ে যেত , দুষ্টুমি করতো , হাসি ঠাট্টা করতেন আমার সাথে । হয়তো A young lady working as catalysts for fun in their daily boring life. আমরা যেমন ছোট বাচ্চাদের দেখলে অনেক টা দুষ্টুমি করি বাচ্চাদের মতো , ওনাদের চোখে আমি হলাম ছোট । ওনারও মেতে উঠতেন আমার সঙ্গ পেয়ে । বাকি আমি ব্যাক্তিগত জীবনে বৃদ্ধদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করি। কারণটা হলো ওনাদের প্রতি এক সহানুভূতি কাজ করে । জীবনের দ্বায়িত্ব শেষ করে আজ তারা নিঃসঙ্গ , সারা জীবন দ্বায়িত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে অবিরাম চলতে চলতে যৌবন কখন শেষ অনেকেই টের পাইনি। এই বৃদ্ধ বয়সে সন্তান সন্ততি জীবিকার টানে

বনবিবি আর দক্ষিন রায়ের সুন্দরবন !! রবি ডাকুয়া ।।

ছবি
  বনবিবি আর দক্ষিন রায়ের সুন্দরবন !! রবি ডাকুয়া ।।  পাতা গুলো গোল নয় মোটেও , তবুও এর নাম গোল পাতা,এরি মাঝে লুকানো বিপদ # কথায় বলে জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ। এই দু’য়ে ধরলে যাবে প্রাণ। বাংলাদেশের সুন্দরবন হতে পারে এই প্রবাদটির সবচেয়ে সুন্দর উপমা । এখানে রাত নামে একরাশ ভয় নিয়ে । এখানে অন্ধকারের ভেতর জ্বল জ্বল করে উঠতে পারে বাঘের চোখ । আর সেই ভয় থেকেই বিভিন্ন সময়ে, স্থান বিশেষে মানব মনে জায়গা করে নেন নানান দেব-দেবী। হয়ে ওঠেন আরাধ্যা। মানুষ সেই দেব আর দেবীর পুজো করে । আর এখানে মানুষ মানেই হিন্দু, মুসলিম আর কদাচিত ক্রিস্টান । আর সকলেই দেব দেবীদের পুজো করেন । পুজো ছাড়া সুন্দরবনে প্রবেশ ? কেউ ভাবতেই পারেন না। দক্ষিণরায় তিনি বাঘদের দেবতা । বাঘেরা দক্ষিন রায়ের এলাকা পাহারা করে। এলাকা তে অনধিকার বা অযাচিত প্রবেশ করলেই আক্রমন করে তারা । দক্ষিন রায়ের এমনি নৃশংস আদেশ । সেই দক্ষিন রায়ের বাঘদের হাত থেকে বিপদাপন্ন মানুষকে রক্ষা করেন বনের দেবতা বনবিবি-তিনি তো বনের দেবতা- মানুষ পুজো করে তাঁকে । ‘হেরিটেজ’ এই সুন্দরবনের মাওয়ালি, কাঠুরে আর মৎস্যজীবীদের রক্ষা করেন তিনি। বনের এই দেবীর বীরত্ব কাহিনীকে নিয়ে লেখা ‘

বাঙলা বানানে ভাইরাস-৬- আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  বাঙলা বানানে ভাইরাস-৬।। আবদুল হাকিম ।। প্রথম লেখা – ২০০৩ । সঙস্করন – ২০২১ । ধরা যাক ” জাতি ” শব্দ’টি । এখানে ই-কার ব্যবহার করা হয়েছে । কিনতু যখনই ” জাতিয় ” শব্দটি লিখছি তখন ঈ-কার এসে হয়ে যাচ্ছে ” জাতীয় ” । এ কেমন কান্ড ? এই কান্ডের কারনে হরহামেসাই আমারা এই শব্দদুটি লিখতে বানান বিভ্রাটের সৃষ্টি করে থাকি । আমরা যদি ই-কার দিয়ে ” জাতিয় ” শব্দটি লেখার অভ্যাস করতে পারি, কিছুদিন পরে ওটাই শুদ্ধ হয়ে যাবে । বানান বিভ্রাটের বড় একটা শঙ্কা থেকে আমরা মুক্ত হব । পন্ডিতদের স্থান অনেক উপরে । কিনতু সাধারন মানুষ, যারা বাঙলা ব্যাকরনের সন্ধি-বিচ্ছেদ বা প্রত্যয় সম্বন্ধে ততটা ভালো অবগত নন, তারা ” রবীন্দ্র ” বা ” জাতীয় ” শব্দদুটির বানানে ঈ-কারের কারন বুঝতে পারবেন না । তাই তাদের শব্দদুটি লিখতে গিয়ে বিভ্রান্ত হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত । অথচ তাদেরও বাঙলা ভাষা ব্যবহার করতে হবে । তাই এতো জটিল ফর্মুলার দরকারটা কি ? এ দু’টি শব্দের ক্ষেত্রে ই-কার ব্যবহার করলে মানে বুঝতে পারবেননা এমন একটি লোক খুজে পাওয়া যাবে কি ? যদি সত্যি খুজে পাওয়া না যায় তবে ঈ-কারের দরকারটা কি ? কেন এই জটিলতা ? এতে সাধারন মানুষ যেমন অনেক স্বস্তি পাবেন,

প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ১৬ – হারিয়ে যাচ্ছে ছনের ঘর!! # আকরাম উদ্দিন আহমেদ ।।

ছবি
  প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ১৬ – হারিয়ে যাচ্ছে ছনের ঘর!! # আকরাম উদ্দিন আহমেদ । বাংলাদেশের বিশেষ করে উত্তর অঞ্চলে ছন বা খড়ের তৈরী ঘরের দৃশ্য বেশীকাল আগের নয়। আধুনিকতার ছোয়াঁয় বর্তমানে ছনের তৈরী ঘর আর নেই বললেই চলে। দিন দিন ছন বা খড়ের ছাউনির ঘরের প্রচলন কমে আসছে। হারিয়ে যেতে বসেছে আবহমান কালের গ্রামবাংলার চিরচেনা গ্রামীণ ঐতিহ্য ছনের ঘর। তবে রূপকথার গল্পের মতো আগামী প্রজন্মের কাছে হয়তো নাড়া দেবে, যেখানে প্রতিটি গ্রামে একাধিক ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ত, সেখানে বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়ন মিলেও একটি ছনের ঘর চোখে পড়ে না। আধুনিকযুগে টিনের সহজলভ্যতা এবং স্থায়িত্ব এর ব‍্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। অপর দিকে টিনের ঘর প্রতিবছর মেরামত করতে হয়না বলে তা স্বাশ্রয়ী। তবে টিনের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। কারণ দেশে উৎপাদিত অধিকাংশ টিন পরিবেশবান্ধব নয়। তথাপি গ্রামগঞ্জে এখনো কিছু ছনের বা খড়ের ঘর চোখে পড়ে। দুই যুগ আগেও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ছনের ছাউনি করা ঘর ছিল। ছন বা খড় মুলত ব্যবহার করা হতো ঘরের ছাউনি দেয়ার কাজে। নিন্ম বিত্তের মানুষ এটি দিয়ে ঘরের ছাউনি দিত। এ ছাড়া চর অঞ্চলের লোকেরা এই ছন বা খড় বিক্রি কর

" বাঙলা বানানে ভাইরাস " ৫ আবদুল হাকিম ।।

ছবি
 "  বাঙলা বানানে ভাইরাস "     ৫  আবদুল হাকিম ।।   ঈ অক্ষরটির কথা প্রথমে একটু আলোচনা করা যাক । মন্ত্রি / প্রধানমন্ত্রি, এ’দুটি গুরুত্বপুর্ন শব্দ লিখতে আমরা সাধারনত ঈ-কার ব্যবহার করে থাকি । কিন্তু যখন আমরা লিখবো মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিগন অথবা মন্ত্রিপরিষদ, তখন ? তখন কি বানান লিখতে হবে ? আপনার আসেপাসে একবার খোজ নিয়ে দেখুন’তো কতজন শিক্ষিত লোক সঠিক উত্তর দিতে পারেন ? হ্যা । প্রচলিত ব্যাকরনসম্মত সঠিক বানান হচ্ছে, মন্ত্রী / প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা / মন্ত্রিগণ / মন্ত্রিপরিষদ । যখনই “ মন্ত্রী “ শব্দটির সাথে সভা, গন বা পরিষদ যুক্ত হচ্ছে, তখনই ঈ-কারের বদলে হয়ে যাচ্ছে ই-কার । অদ্ভুত এই ব্যাকরনতত্ত্ব আমাদের কতজনের পক্ষে আত্মস্থ করা সম্ভব ? তাইতো বানান ভুলের এই মহামারি চলতেই থাকবে ।           ধরা যাক, " জরুরি " শব্দটি । এই শব্দটি লিখতে গিয়ে ই-কার, ঈ-কার উভয়ই ব্যবহৃত হচ্ছে । অফিস আদালতে “ জরুরি “ আর হাসপাতালে “ জরুরী “ । সরকারি দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে “ জরুরি বিজ্ঞপ্তি “ । তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বলে কথা ! তাই বোধ হয় তারা প্রতিজ্ঞা করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ঈ-কার দিয়েই

লেখক বৈমানিক রেহমান রুদ্রের কবিতা- ধিন্তা ধিনতানানানা।

ছবি
  ধিন্তা ধিনতানানানা। রেহমান রুদ্র। ছবিটি লেখকের স্কেচ করা ।।  ডাহুকের ডাক বড় অচেনা তাই কোকিলের কণ্ঠে মিনতির সূর। স্মৃতির ঝাঁপিতে কারা লুকিয়ে আছে কিছুই চেনা যায়না, কেমন যেন ভঙ্গুর। পেঁজা তুলোর মত ধোঁয়ায় আবিষ্ট ছেড়ে আসা ধুলোমাখা পথ ভাগ্যের ঠিকানা বদলে দিয়ে কুয়াশার আবরণে করেছে মোহাবিষ্ট। লাজুক কিশোরীর রূপের গহীনে ভাসে মায়াবী নগ্নতা। নিওনের শহরে রঙিন বিধ্বংসী চোখ আর হৃদয়ে বাজে তানানা ধিন্তা ধিনতানানানা। তন্দ্রাহরিনির আপেলের ঠোঁটে নেশার আগুন ধরায় বিত্তবান প্রেমিকের সর্বনাশা রক্তে, তাই বুঝি ঘুঙ্গুরুর কামেলি শব্দে সম্রাটের মুকুট ধুলোয় গড়ায়। প্রতিদিন হৃদয় উৎসবে হোলি খেলে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কানামাছি, আর এদিকে কষ্টিপাথরে আঁকিবুঁকির মাঝে ভাগ্যবিচারে ব্যস্ত জ্ঞ্যানপাপি। ল্যাভেন্ডারের সৌরভ মেখে মায়াবী চঞ্চলা হরিণী দেহের আকর্ষণ ছাড়িয়ে স্বপ্নে ব্যাকুল বাবুই পাখির বাসা বোনার। হৃদয় দেবতার করুণালাভে দেহমনপ্রানে জড়িয়ে থাকে কেবলি প্রতিক্ষার প্রহর। সুন্দরী বাইজীর উন্মুক্ত বক্ষে প্রমোদের আলোড়ন ঠেকানো যায়না সব বিধিনিষেধ ছাড়িয়ে সম্রাটের বুকে বাজে তানানা ধিন্তা ধিন্তা ধিনতানানানা। একসময় রঙ্গশালার ঝাড়বাতি খসে