পোস্টগুলি

মহসিন আলী মনজু লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বসন্তে অপরুপা ফুলবাড়ির শিমুল গাছ - মহসিন আলী মঞ্জু ।

ছবি
 ##  A hellojanata. com Presentation.  বসন্তে অপরুপা ফুলবাড়ির শিমুল গাছ । কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তে ঘেঁষা দৃষ্টিনন্দন বিশাল আকৃতির শিমুল গাছটি এখনও কালের স্বাক্ষী হয়ে টিকে আছে। এই বসন্তে শিমুল গাছটিতে ফুল ফুটে অপরুপ সাজে সেজেছে । ফুলের গন্ধে ভিড় করছে নানা ধরনের পাখ-পাখালী। মৌমাছির গুঞ্জরণ আর বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলরবে মুখরিত শিমুল তলা। বিশাল আকৃতির গাছের ফুটন্ত শিমুল ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ‍্যা। প্রায় ৮ শতাশং জমির উপর দাড়িয়ে থাকা আনুমানিক ১৫০ ফুট লম্বা শিমুল গাছটির গোড়ার পরিধি ৫৮ হাত। বিশাল গাছের গোড়ায় দাঁড়ালে মনে হবে পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আছি। দূর থেকে তাকলেই মনে হবে অপরুপ কারুকার্য করা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌদ্ধ দাঁড়িয়ে আছে । স্মৃতিসৌদ্ধ আকৃতির গাছটি নিয়ে প্রচলিত আছে নানান লোককাহিনি। এত বছরে গাছটির যৌবনে এখনও ভাটা পড়েনি। রাশি রাশি ফুটন্ত ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য মোহিত করছে চারিদিক। চিরযৌবনা গাছটির সঠিক বয়স অনুমান করতে পারে না কেউ । তরুন,যুবক,বৃদ্ধ সকলেই জন্ম থেকে গাছটিকে একই রুপে দেখে আছছেন। কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ খোকাচন্দ্র

বিলুপ্তির পথে বেত গাছ -মহসিন আলী মনজু।।

ছবি
 ## A hellojanata. com Presentation.  বিলুপ্তির পথে বেত গাছ - মহসিন আলী মনজু   ।। বিলুপ্তির পথে বেত গাছ।। মহসিন আলী  মনজু।  একসময় লতাপাতা আর সবুজ শ্যামলে ভরপুর ছিল গ্রামবাংলার  প্রকৃতি ও পথঘাট প্রান্তর আর লোকালয়। বিভিন্ন ঋূতুতে নানান রংঙে সাজতো গ্রামবাংলার প্রকৃতি। আগে গ্রামবাংলায় অনেক দেশী গাছ গাছালী পাওয়া যেত । এখন অনেক গাছ গাছালী বিলুপ্তির পথে। এ রকম একটি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতি হচ্ছে বেত গাছ।আগের মত গ্রাম-গঞ্জে বেত গাছ তেমনটা দেখা যায় না। www.  hellojanata.com   বেত গাছ সাধারণত গ্রাম-গঞ্জে রাস্তার পাশে, বসতভিটার পিছনে , পতিত জমিতে ও বন-জঙ্গলে কিছুটা আর্দ্র জায়গায় জম্মে। খুব অল্পদিনের মধ্যেই বেত গাছ ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়। চির সবুজ এই উদ্ভিদটি পূর্ণ বয়স্ক অবস্থায় ৪৫ থেকে ৫৫ ফুট এবং কখনো কখনো তার চেয়ে বেশী লম্বা হয়ে থাকে। বেত গাছে ফুল ধরার আগে গাছ থেকে এক ধরনের মিষ্টি ঘ্রাণ আসে। আর তাতেই পিঁপড়া, মৌমাছি, ভিমরুল এই রস খেতে বেত গাছে ভিড় জমায়। বেত গাছের ফলকে অঞ্চলভেদে বেতফল, বেওুন, বেথুন, বেথুল, বেতগুটি, বেওুইন ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। ভেজা ও জংলা নিচু ভূমিতে ভাল জম্মে। গাছ চিকন ও লম্বাটে ও কাটাযুক

বিভিন্ন রকমের লীলায় ভরা ছিল নীলের খাস ।।মহসিন আলী মনজু ।।

ছবি
  ## A hellojanata.com Presentation .  ## বিভিন্ন লিলায় ভরা ছিল নীলের খাস ।।  নাম শুনে মনে হতে পারে নীল কর সাহেবদের  কোন খাস জমি অথবা তাদের রেখে যাওয়া কোন স্মৃতি চিহ্ন কিন্তু এর সাথে নীলকরদের কোন স্মৃতি জড়িত নয়। বিভিন্ন রকম লীলা খেলার জন‍্য কালক্রমে এর নাম হয়েছে নীলার খাস। খাসজমিটি ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি ছিল পাশ্ববর্তী গাওচুলকা বিলের একটি অংশ। বিল টি গভীর ও রহস্যময়তায় ভরা। বর্তমানে এটি সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত একটি শান্ত পুকুর।অতীতের কোন ক্ষমতাই এখন আর নাই।তবে প্রাচিন কালে পুকুরটি ছিলএ এলাকার মানুষের মাছের চাহিদা পুরন ও বিয়ে-সাদিতে প্রয়োজনিয় বাসনপত্র প্রাপ্তির স্হান। স্হানীয় বয়স্কদের কাছে শোনা যায় প্রাচীন কালে এ অঞ্চলের বিয়ে শাদীতে থালা বাসন প্রয়োজন হলে বিলের পাড়ে অবস্থিত একটি নিদিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত জোর করে অনুষ্ঠানের জন‍্য ব‍্যবহৃত থালা বাসন চাইলে তা ভেসে উঠে পুকুর পাড়ে একটি নিদৃষ্ট স্হানে জমানো থাকতো। সেখান  থেকে নিয়ে অনুষ্ঠান শেষে করে আবার ভালো করে পরিষ্কার করে ঐ আগের জায়গায় রেখে আসলে তা আপনা আপনি আবার বিলের গভীরে নেমে যেত। বিলে বিভিন্ন প্রক

# ধরলার চোখ জুড়ানো কাশফুলের সৌন্দর্য #

ছবি
  # ধরলার চোখ জুড়ানো কাশফুলের সৌন্দর্য # মহসিন আলি মঞ্জু ।। ধরলা নদী । আর সেই ধরলার পলি মাটি দিয়ে তৈরী ফুলবাড়ীর জনপদ।মোগলহাটের কাছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হতে বাংলাদেশের ফুলবাড়ীতে প্রবেশ করে চিলমারিতে ব্রহ্মপুএ‍্যের কাছে মিশেছে । ধরলা নদী এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উৎস। www.  hellojanata.com যুগের পরে যুগ ধরে ধরলার চরের চোখ জোড়ানো সবুজ ধানের ক্ষেত,সবজিক্ষেত,কলাবাগান,ঝাঁউবন,লাটাবন আর শরতের মন হারানো আকাশের উড়তে থাকা হালকা সাদা সাদা মেঘের নিচে দিগন্ত জুড়েই ছড়িয়ে থাকা সাদা কাশফুল এনে দেয় এক অদ্ভুত শান্তি ও মনে আনে প্রশান্তি। সুজলা -সুফলা প্রাকৃতিক রুপ বৈচিএ‍্যের এ ভূমি হাতছানি দিচ্ছে মানুষকে।মাইলের পর মাইল দূষ্টি নন্দন ভূমির ধানক্ষেত অপরূপ মোহনীয় হয়ে ধরা পড়ে। চরের সারি সারি কলাগাছ,কাশবন,ঝাঁউবন,কাটাবন,মানুষের প্রাণ জুড়ায় না,অর্থনৌতিক স্বাচ্ছন্দ‍্যও এনে দেয়।সুজলা-সুফলা ফুলবাড়ী ধরলা নদীর অবদান।প্রাচিন কাল থেকেই এ অঞ্চলের উৎপাদিত ফসলের কদর ছিল দেশজুড়ে। ধান,পাট,সরিষা,সুপারি,পান,পেঁপে,কুমড়া চলে যেতো সারাদেশে ও বিদেশে।উত্তর অঞ্চলের কিংবদন্তির চাঁদ সওদাগর তাঁর চৌদ্দ ডিঙ্গায় ভরে এ অঞ্চলের কৃষিপণ