পোস্টগুলি

আবদুল হাকিম লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Padma bridge: সাদা কথা- আমেরিকা থেকে আবদুল হাকিম ।

ছবি
  ##  A hellojanata.com  Presentation  -  সাদা কথা-  আমেরিকা থেকে আবদুল হাকিম । # আর মাত্র এক দিন পেরিয়ে # ————— # তাহাঁদের কথা । # # ফিচার গ্রুপ পোস্ট # # পদ্মা সেতু নিয়ে লেখকদের লেখা # ‘সাদা কথা’ — আমেরিকার বাল্টিমোর থেকে– আবদুল হাকিম । ‘সাদা কথা ‘ অনেকদিন আগের কথা । ভালো মনে নেই । প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা মনে হয় অনেকটা জিদের বসেই বলেছিলেন, নিজেদের অর্থায়নেই পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে । তাঁর এই কথায় অসাধারন এক দৃঢ় প্রত্যয় ছিল । এই দৃঢ় প্রত্যয় দেশের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা না থাকলে প্রকাস করা যায় না । ভালোবাসা থেকেই স্বপ্নের উদ্ভব । আর স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয় প্রত্যয় দিয়ে । এই কথা নিয়ে আমার বন্ধু মহলে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছিল । সবাই বলেছিল এ এক অসম্ভব কথা । আমি প্রধানমন্ত্রির পক্ষ নিয়ে বলেছিলাম – সম্ভব । কিভাবে বলেছিলাম ? প্রথমত – হিনমন্যতা মহামারি আমাকে আজ পর্যন্ত কোনদিনও আক্রমন করতে পারেনি । ভাগ্যান্বেষনে আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছি সত্যি, কিন্তু হিনমন্যতা আমাকে গ্রাস করতে পারেনি । আমার জন্মভুমি গরিব হতে পারে । হতে পারে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত । কিন্তু তবুও আমার জন্মভুমি । এর আনন্দে যেমন আমি

‘সব পেয়েছির দেশে’- ৪১ - আবদুল হাকিম।।

ছবি
  ## A hellojanata.com Presentation.  ‘সব পেয়েছির দেশে’- ৪১  - আবদুল হাকিম।। Hellojanata.com সব পেয়েছির দেশে  ৪১ ঠক ঠক ঠক - । - হু ইজ দিস ? দরজার ফুটোয় চোখ রাখলাম । বেশ একদল মানুষ । লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে । বুঝতে আর বাকি রইল না, ওরা কারা । অনেকটা আমাদের ধর্মের তাবলিগ জামাতের মতো । খৃস্টান তাবলিগ বলা যায় । দরজাটা খুলে দিলাম । - গুড আফটারনুন । হাত বাড়িয়ে করমর্দন হল । তারপর কুসল বিনিময় । একাধারে পাচ থেকে ছয়জন নারি পুরুষ লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে । পোশাক আশাকে বেশ ফিটফাট । মাথায় ভারি সুন্দর সুন্দর হ্যাট । দলনেতা ছোটছোট কয়েকটি পুস্তিকা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, আমরা গডের পুত্র জিসাসের পক্ষ থেকে তার কিছু বানি নিয়ে তোমার দুয়ারে এসেছি । আমি একগাল হেসে, তারা যে কষ্ট করে আমার দুয়ারে এসেছেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানালাম । আমার কথায় মনে হল তার উৎসাহ দ্বিগুন বেড়ে গেল । এবার প্রস্ন করলো, বাই বর্ন তুমি কোন দেশের মানুষ ? তুমি কি গড বিশ্বাস করো ? আমি বললাম বাঙলাদেশ । হ্যা, গডে আমার পুর্ন বিশ্বাস । ভদ্রলোক বললেন, ব্যাঙ -- ব্যাঙ - লা - হোয়ার ইস দিস ? আমি বললাম এটা ইন্‌ডিয়ার পাসে অবস্থিত । ওহ্‌ । সো ইউ আর হিন্

সব পেয়েছির দেশে’- ৪০ - বাল্টিমোর থেকে আবদুল হাকিম। ।

ছবি
  ## A hellojanata.com Presentation.  ‘সব পেয়েছির দেশে’- ৪০  - আবদুল হাকিম।। Hellojanata.com সব পেয়েছির দেশে  ৪০ নির্বাচনি প্রচারনা তুঙ্গে । তবে নেই কোন হট্টগোল । মারামারি । ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া । দৈনন্দিন জিবনে নেই কোন ছন্দপতন । যে যার মতো কাজ করে যাচ্ছে । মাঝে মাঝে দু’একটা কথাবার্তা, এই যা - ।  তবে এবারের নির্বাচন আমেরিকানদের জন্য একটু বিশেষ তাৎপর্যপুর্ন সন্দেহ নেই । বারাক ওবামা যদি জিতেই যায়, তবে তিনিই হবেন আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট । মেরিল্যান্ড কৃষ্ণাঙ্গ সঙখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা, তাই স্বভাবতই এখানে উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই । এখেত্রে টেলিভিসনের ভুমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন । এখানে কৃষ্ণাঙ্গ স্বেতাঙ্গই সুধু নয়, এশিয়ান, হিস্পেনিক, ল্যাটিনো, এমনকি নারি ভোটার পুরুষ ভোটারের পরিসঙখ্যান নিয়ে চুলচেরা হিসাব নিকাস চলছেই । একটা জিনিস আমি বুঝিনা, ভোটাভুটিতে পক্ষ বিপক্ষ থাকবেই । পছন্দ অপছন্দ থাকবেই । তাইবলে টেলিভিসনে, তথা সরকারিভাবে এই বৈষম্যকে প্রাধান্য দিয়ে বিভাজনকে ধরে রাখার অপচেষ্টা আমেরিকার মতো একটি উন্নত ও গনতান্ত্রিক দেশে কিভাবে সম্ভব  ? - যাকগে । আমি আদার ব্যাপারি -    কাল কাজ থেকে ফিরেছি

বাঙলা বানানে ভাইরাস- ১৯--আবদুল হাকিম ।।

ছবি
   ## A hellojanata.comPresentation.  বাঙলা বানানে ভাইরাস।। ১৯ --  আবদুল হাকিম ।। প্রথম লেখা – ২০০৩ সঙস্করন – ২০২১ এখানে একটা কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, আমরা যারা স্কুল কলেজে বাঙলা ব্যাকারন পড়েছি, বিশেষ করে খুব ভালোভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছি তারা অনেকেই পরবর্তিতে বিভিন্ন পেসায় নিয়োজিত হয়ে যাবার কারনে, নতুন করে বিষয়টির প্রতি আর মনোযোগ দিতে পারিনি । দিন গড়িয়ে গেলেও ভাষা নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা ওখানেই আটকে আছে । জিবনের বিভিন্ন চড়াই উৎরাই সামাল দিতে গিয়ে ভাষা বা বানান বিষয়ক বিষয়টি আমাদের কাছে যেমন ছিল, তেমনটিই রয়ে গেছে । তাই নতুন কিছু দেখলেই আমরা আতকে উঠি । মনে হয়, আমার এতদিনের সাধনার ধন এবার বুঝি ধুলায় মিসে যেতে বসেছে ।     পক্ষান্তরে বাঙলা একাডেমির কাজ হল, বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে গবেষনা,  চিন্তা ভাবনা এবঙ এর উন্নয়ন সাধন । বাঙলাদেশে মাতৃভাষা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য এমন দ্বিতিয় কোন প্রতিষ্ঠান খুব কমই আছে । সেখেত্রে আমরা ভাগ্যবানই বলতে হবে । প্রতিষ্ঠানটিতে এই কাজে যে সমস্ত বিজ্ঞজন নিয়োজিত আছেন, তাঁরা তাদের পুরোটা কর্মদিবস এই কাজেই অতিবাহিত করে চলেছেন । ধির গতিতে হলেও একাডেমি আধুনিকতার পথ

'সব পেয়েছির দেশে’- ৩৯- বাল্টিমোর থেকে আবদুল হাকিম। ।

ছবি
  ## A hellojanata. com Presentation .  ‘সব পেয়েছির দেশে’- ৩৯ - আবদুল হাকিম।। Hellojanata.com লাইন পড়েছে । কিছুক্ষন বসে থাকার পর আমার ডাক পড়ল - হাকিম আবদুল । হ্যা । আমেরিকা 'য় লাস্ট নেইম আগে ব্যবহার করা হয় । ফার্স্ট নেইম থাকবে পরে । আরে বাবা, লাস্ট নেইম যদি আগে ব্যবহার করবি, তো ওই লাস্ট নেইমকেই ফার্স্ট নেইম বানিয়ে নিলেই হয় । ঝামেলা চুকে যায় । কোনটা লাস্ট নেইম আর কোনটা ফার্স্ট নেইম, এ নিয়ে এতো গোলমাল থাকেনা । আর ফার্স্ট নেইম আগে আর লাস্ট নেইম পরে থাকলে খতিই বা কি ? - না, চলছে’তো চলছেই । ওসব নিয়ে ভাবার সময় কারো নেই ।  Hellojanata.com একটু টেনসন নিয়েই ঢুকলাম । বেশ সুন্দরি এক সাদা মহিলা আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে তার সামনের চেয়ারটায় বসতে বললেন । শুরু হল আমার ইন্টার্ভিউ । প্রথম পর্বে আমার নাম ধাম ঠিকানা জন্ম তারিখ কোন দেশ থেকে কবে এসেছি, কোথায় কি কাজ করি ইত্যাদি ইত্যাদি । বোঝা গেল, তার হাতের ভিতর আমার এপ্লিকেসনটা রয়েছে । আমার কথার সাথে উনি মিলিয়ে দেখছেন । দ্বিতিয় পর্বে উনি জিজ্ঞেস করলেন, আমেরিকার জাতিয় পতাকার অর্থ কি ? উত্তরটা আমার জানাই ছিল । ঝড়াঝড় বলে দিলাম, পঞ্চাশটা তাঁরা পঞ্চাশটি স্টে

বাঙলা বানানে ভাইরাস-- ১৮-- আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  ## A hellojanata.comPresentation.  বাঙলা বানানে ভাইরাস।। ১৮ আবদুল হাকিম ।। প্রথম লেখা – ২০০৩ সঙস্করন – ২০২১ সাহিত্য সঙস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক ” নতুন দিগন্ত ” পত্রিকার প্রথম বর্ষ দ্বিতিয় সঙখ্যায় (জানুয়ারি – মার্চ ২০০২) প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ” বাংলা বানানে অন্যায় হস্তক্ষেপ ” প্রবন্ধে আরও বলতে চেয়েছেন যে, ইঙরেজি ভাষায় কোন আধুনিকায়ন বা প্রমিতকরন কখনো হয়নি । তারা এটা পছন্দ করেনা । কিনতু বাঙলা ভাষা’তো অন্য কোন ভাষার পদাঙ্ক অনুসরন করেনা ।  www.  hellojanata.com অন্য কোন ভাষা যদি তার অজস্র অসঙ্গতি যুগ যুগ ধরে পুষে রাখে, তাই বলে কি বাঙলাকেও পুষে রাখতে হবে ? সে কি কখনো আধুনিক হবেনা ? বাঙলা ভাষার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে সুধু দৃষ্টিভঙ্গি আর মানসিকতা পরিবর্তন করাই যথেষ্ট । ব্যাকরন আর ধ্বনিতত্বের কঠিন আবর্তে থেকে আধুনিকায়ন সম্ভব নয় । এজন্য চাই ইচ্ছেসক্তি বা বিপ্লব । এই বিপ্লব না ঘটালে বাঙলা ভাষায় শুদ্ধ আর অশুদ্ধ পাসাপাসি চলতেই থাকবে অনন্ত কাল । বানান নিয়ে বিভ্রান্তির শেষ হবে না কোনদিন । অথবা প্রতিটি বাঙলা ভাষাভাষিকে ভাষায় পন্ডিত হতে হবে । আর তাই কি কখনো সম্ভব ? প্রয়োজনে অভিধান বা ব্যাকরন পরিবর্

বাঙলা বানানে ভাইরাস -১৭ - আবদুল হাকিম।।

ছবি
  বাঙলা বানানে ভাইরাস   ১৭ আবদুল হাকিম ।।   প্রথম লেখা - ২০০৩  সঙস্করন - ২০২১    www.  hellojanata.com তাই বলে ব্যাকরন ,   ধ্বনিতত্ব বা অভিধান যে অপ্রয়োজনিয় , তা কিন্‌তু মোটেই না । সেই হ্যালহেড সাহেবের পর রামমোহন রায়ই প্রথম বাঙালি ,   যিনি বাঙলা ব্যাকরন লিখেছিলেন । তবে ওই ব্যাকরন, বাঙলা ব্যাকরন ছিল সন্দেহ নেই, তবে তা ছিল ইঙলিস আর সঙস্কৃত ব্যাকরনের আদলে । হতেই পারে । নতুন কোন সঙবিধান বা আইন প্রনয়ন করতে হলে আসেপাসের আরও দু’চারটে সঙবিধান বা আইনের বই ঘাটাঘাটি করতেই হয়, সেখেত্রে সেগুলোর প্রভাব নতুন সঙবিধান বা আইনে পড়তেই পারে । তবে সুক্ষ ও পান্ডিত্যপুর্ন ব্যাখ্যা বিস্লেষন করতে গিয়ে তখন হয়তো তাঁদের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব হয়নি যে, সধারন বাঙলাভাষির পক্ষে কোনদিনই ন আর ণ / ই আর ঈ / উ আর ঊ’র সুক্ষ পার্থক্য অনুধাবন করে, ওই ভাষারিতি যথাযথ ভাবে অনুসরন করা সম্ভব হবে না । এর প্রমান আমরা একটু চোখ মেলে আসেপাসে তাকালেই দেখতে পাবো । তবে ওই ব্যাকরন যদি সুধুমাত্র উচ্চসিক্ষিত বা পন্ডিতস্রেনির জন্যই প্রনয়ন করা হয়ে থাকে, তবে তা ভিন্ন কথা ।  তবে আজ পর্যন্ত বাঙলা ব্যাকরন বিসারদ বা ভাষাবিদরা খুব যত্নের সাথে ওই ব্