বাঙালি বৈমানিক রেহমান রুদ্রের কবিতা -- অসামাজিকতা ।।
অসামাজিকতা।
* রেহমান রুদ্র।
বহুকাল তোমাতে দেখা হয়না
বিশ্বাস তোমায় আঁকড়ে আছি অবিকল।
পোড়ামন আকর্ষণহীন, বিশীর্ণ, সমস্ত কস্তূরী নিঃশেষ
ক্যানেস্তারার মত বেজে যায় শতাপব্দির নিপীড়নে।
কোথায় সে প্রতিশ্রুতি, সঙ্গীতের মীড়ে
নিদ্রাহীন রোঁয়া রোঁয়া ভালবাসা।
প্রতিক্ষায় ছিলাম একদিন-
সে কি উদ্ভট সব চিন্তা।
তুমি আসনি অলিন্দচারিনি হয়ে,
বড়ই কষ্টে ছিলাম।
অভিমান হয়েছিল প্রচণ্ড- সে কি কষ্ট
নির্বোধ ভালবাসায় অবগাহনে।
পরে জেনেছিলাম ইচ্ছে করেই কষ্ট দেয়া,
এ তোমার এক অদ্ভুত আনন্দখেলা।
আমি তো ভালোবাসায় ভঙ্গুর, অল্পতে গলে যাই
সামান্য অনিহা বুকেতে অনবদ্য
দীঘির মত কাঁপায়,
হৃদয়ের জল শুকিয়ে ওঠে।
আমার এ চিলেকোঠায়, তুমি বলেছিলে-
“খেলাঘর”,
এখনও ক্ষুদ্র উপহারগুলো সযত্নে রাখা।
ভাবলে অবাক হবে- রুমাল, সে তোয়ালে
এখনো ওভাবেই রেখেছি, আধোয়া
পাছে চেনা গন্ধ থেকে বঞ্চিত হই।
অনেকেই বলে এ ভালোবাসায় কোন যুক্তি নেই
নেহায়েত পাগলামি।
এমন পাগলামিতে আদৌ কোন আক্ষেপ নেই।
যেদিন তুমি চলে গেলে
সে চিলেকোঠায় কোন উত্তাপ ছিলনা,
চুপচাপ চেয়ে থেকেছি নিসর্গের দিকে।
মুখ টিপে হেসেছে অনেকেই, ভাবখানা-
“কি অকাট মূর্খ- এ হবে জানতাম”।
এখন আর কোন সামাজিক বিধিনিষেধ নেই
প্রতিটি রাতে তুমি আসো আমার
“খেলাঘরে”।
সারারাত সেকি মাদকতা-
উন্মাদনায় আনন্দ অনুভব করি,
যেন টিউলিপ ফোটার আনন্দ।
কল্পনার জগতে হেঁটে চলা স্বাপ্নিক মানুষ
ডিপ্রেশনে ভোগে,
কথাটা হয়ত ঠিক-
স্বপ্নের সে আবেগ তো আসেনা আমার।
ভাবনার জগতে আমি কি ভীত কাপুরুষ।
বড্ড বেশি ভেবে ফেলি হয়ত
কার্যত হয়না কিছুই।
একদিন বিশ্বাস নিয়ে বলবো-
আমি কোন আলো চাইনা
এ পৃথিবীতে কোন সূর্য চাইনা
কোন শব্দ চাইনা।
অস্থির নগরীতে আমি কোন শব্দ চাইনা
নিশ্চল নিশ্চুপ অবিচল হয়ে থাক সব।
অনন্তকাল অন্ধকারের মাঝে
চাই কামিনীর সুবাস-
তোমার উপস্থিতি হোক চিরকাল
ভালবাসার নিষিদ্ধ আশ্রমে।
রেহমান রুদ্র ।।
# লেখক।।#প্রবাসী বৈমানিক ।।
# লেখায় ব্যাবহার করা ছবিটি লেখকের নিজে স্কেচ করা ।।
# হ্যালো জনতার নিয়মিত লেখক ।।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন