বৈমানিক রেহমান রুদ্রের কবিতা-ধিন্তা ধিনতানানানা।

 

বৈমানিক রেহমান রুদ্রের কবিতা-

ধিন্তা ধিনতানানানা।

।। রেহমান রুদ্রের আঁকা ছবি ।।

ধিন্তা ধিনতানানানা।

রেহমান রুদ্র।

ডাহুকের ডাক বড় অচেনা
তাই কোকিলের কণ্ঠে মিনতির সূর।
স্মৃতির ঝাঁপিতে কারা লুকিয়ে আছে
কিছুই চেনা যায়না, কেমন যেন ভঙ্গুর।

পেঁজা তুলোর মত ধোঁয়ায় আবিষ্ট
ছেড়ে আসা ধুলোমাখা পথ
ভাগ্যের ঠিকানা বদলে দিয়ে
কুয়াশার আবরণে করেছে মোহাবিষ্ট।

লাজুক কিশোরীর
রূপের গহীনে ভাসে মায়াবী নগ্নতা।
নিওনের শহরে রঙিন বিধ্বংসী চোখ
আর হৃদয়ে বাজে তানানা ধিন্তা ধিনতানানানা।

তন্দ্রাহরিনির আপেলের ঠোঁটে
নেশার আগুন ধরায় বিত্তবান প্রেমিকের সর্বনাশা রক্তে,
তাই বুঝি ঘুঙ্গুরুর কামেলি শব্দে
সম্রাটের মুকুট ধুলোয় গড়ায়।
প্রতিদিন হৃদয় উৎসবে
হোলি খেলে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কানামাছি,
আর এদিকে কষ্টিপাথরে আঁকিবুঁকির মাঝে
ভাগ্যবিচারে ব্যস্ত জ্ঞ্যানপাপি।

ল্যাভেন্ডারের সৌরভ মেখে মায়াবী চঞ্চলা হরিণী
দেহের আকর্ষণ ছাড়িয়ে
স্বপ্নে ব্যাকুল বাবুই পাখির বাসা বোনার।
হৃদয় দেবতার করুণালাভে দেহমনপ্রানে
জড়িয়ে থাকে কেবলি প্রতিক্ষার প্রহর।
সুন্দরী বাইজীর উন্মুক্ত বক্ষে
প্রমোদের আলোড়ন ঠেকানো যায়না
সব বিধিনিষেধ ছাড়িয়ে সম্রাটের বুকে বাজে
তানানা ধিন্তা ধিন্তা ধিনতানানানা।

একসময় রঙ্গশালার ঝাড়বাতি খসে পড়ে,
আবেগ পড়ে থাকে অবহেলায়।
উম্মত্ত রঙ্গিন চোখ আর পাইক পেয়াদার
ত্রিশূলে মাখে কিশোরীর তরল জমাট বাধা রক্ত।

রেহমান রুদ্র ।।
# লেখক।।
#প্রবাসী বৈমানিক ।।
# লেখায় ব্যাবহার করা ছবিটি লেখকের নিজে স্কেচ করা ।।
# বিধি নিষেধের কারনে অনেক কিছুই লিখতে পারেন না লেখক ।।
সে কারনে লেখক ও হ্যালো জনতা দুঃখ প্রকাশ করছে ।।
# হ্যালো জনতার নিয়মিত লেখক ।।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।