সারা দেশে ফেসবুক গ্রুপে আর সাহিত্য পরিষদের নামে এ্যওয়ার্ড।।

 

সারা দেশে ফেসবুক গ্রুপে আর সাহিত্য পরিষদের নামে এ্যওয়ার্ড।।

ফেসবুক গ্রুপে ও সাহিত্য পরিষদের নামে এ্যওয়ার্ডের বন্যায় ভাসছে দেশ– বাংলা সাহিত্যে অশনি সংকেত।।

ম.ম.রবি ডাকুয়াঃ

ফেসবুকে ঢুকলেই দেখবেন জাতীয় আর আন্তর্জাতিক সাহিত্য গ্রুপের ছড়া ছড়ি। মেয়ে আইডি হলেই যেন কবি নামের সম্বোধনের বন্যা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু লম্পট গোছের লোক তাদের নিজ নিজ স্বার্থকে চরিতার্থ করছে। লম্পটতা থেকে শুরু করে সাহিত্য এ্যওয়ার্ড দেয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে বছর বছর বিপূল অংকের টাকা।কখনো ভার্চুয়াল কখনো হার্ড করে তৈরী এসব এ্যওয়ার্ডের ছড়াছড়িতে দেশের বড় যে কোন প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের স্মারক বা এ্যাওয়ার্ড মান হারানো সহ বিভিন্ন মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ যেন রীতিমত এক ছেলে খেলায় পরিনত হয়েছে। এসব স্বার্থান্বেষি মহলের কারনে বাংলাদেশের সাহিত্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

অনেকের সাহিত্য সম্পর্কে ন্যুনতম কোন ধারনা নেই এমনকি বিভিন্ন স্বনামধন্য কবিদের কবিতা হুবহু কপি করে এসব নোংরা খেলায় মেতেছে। এদের একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।এদের অনেক দেশ বিদেশেও সহযোগী রয়েছে।সাহিত্যের সম্পর্কে কোন ধারনা নেই এমন এক বা একাধিক জন মিলে রাতারাতি তৈরী করে ফেলছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নাম দিয়ে সাহিত্য পরিষদ বা গ্রুপ। এসব গ্রুপের নামে চলছে সাহিত্যিক নামে অসাহিত্যিক ও কুসাহিত্যিকদের পদক ও গুনিজন সংবর্ধনা দেয়ার নামে অর্থ আদায়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছ থেকে এভাবে বছরের পর বছর এ্যওয়ার্ড বা পদক দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এসব এ্যওয়ার্ড দেয়ার কাজে সমাজের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রধান বা বিশেষ অতিথি বানিয়ে আমন্ত্রন করে আনছে, তারাও বিষয়টি জানছে না এটা আসলে বিষয়টা কি। এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরী।সাহিত্য গ্রুপের নামে এরা নারীদের কাছাকাছি গিয়ে নানান উদ্দেশ্য হাসিল করছে বলেও ভুক্তেভোগীরা জানিয়েছে।
সমাজের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও এর গুরুত্বহীনতা অনুধাবন না করেই এ সব স্বার্থান্বেসী মহলের খপ্পরে পড়ে প্রধান বা বিশেষ অতিথির পদ অলঙ্করন করতে উপস্থিত থেকে তাদের এ সব কাজে সহায়তা নামে সম্মানহানিকর পরিস্থিতিতে পড়ছে ।
কি দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের সাহিত্যের, ফেসবুকে মেয়ে আইডি হলেই সাহিত্যের পদক রাখার জন্য তার স্বামীদের আলমারি আর শোকেস বানাতে হবে।
ফেসবুক জুড়ে এধরনের স্বার্থান্বেসী মহলের একটি শক্তিশালি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে খুব দ্রুত। যারা মিলে অনেক নামি সাহিত্যিকদের নামে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর পোষ্ট সহ অপমানকর লেখা ছড়াচ্ছে। আর এরা এ সকল কাজের সহযোগী হিসেবে সুন্দরী ছবি পোষ্ট করা নারীদের ফাঁদ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।আবার এসব গ্রুপের এডমিন মডারেটর নামে চলছে নানা রকম কুকীর্তি ।এসব অসাহিত্যিক সহ সমাজের কিছু লম্পটের কারনে দেশের সাহিত্যের আকার ও প্রকার যেন পাল্টে যেতে বসেছে।
সময় মত পদক্ষেপ নিতে হবে । নইলে সময় আমাদের নিয়ে যাবে দুরভিসহ এক অবস্থায় ।
তাই দেশের সাহিত্যমনা সত্যিকারের সচেতন সমাজের জোর দাবি এসব কুচক্রীদের এখনি প্রতিহত করতে হবে।
নিতে হবে আশু পদক্ষেপ । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ততই মঙ্গল ।।



ম.ম রবি ডাকুয়া ।।
হ্যালো জনতা ডেস্ক থেকে।।
হ্যালো জনতা ডট কম।।
hellojanata. com .
# রবি ডাকুয়া হ্যালো জনতার নিবেদিত প্রান লেখক ও সাংবাদিক, তিনি একজন কবি ।

হ্যালো জনতার ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।।
https://hellojanata350.blogspot.com/
# Copy and paste to your browser .
আমাদের ব্লগ —-Subscribe our blog .
https://hellojanata350.blogspot.com/
Copy and paste to your browser .
Follow us on —-
# facebook –
@ https://www.facebook.com/hellojanata/
#Twitter–
@ @BinMostanjir
# inastagram —
@ 121kamalbd
# linkedin
@ https://www.linkedin.com/feed/

## hellojanata.com ##

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।