এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৫ **হঠাৎ করে মালদ্বীপ। । ** রেহমান রুদ্র।।

 

এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৫ *

*হঠাৎ করে মালদ্বীপ। । *

* রেহমান রুদ্র।।


বারো তলার রুফটপে চমৎকার সুইমিংপুল সাথে রেস্টুরেন্ট। মালদ্বীপের মেইনল্যান্ড মালে। ফ্রেশ অরেঞ্জ জুস আর সিফুড থাই রেডকারি সাথে জেসমিন রাইসের অর্ডার দিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে ভাবছি। চমৎকার মনোরম পরিবেশ। একজন দুজন করে কাস্টমার আসছে। অনেকে আবার পুল সাইডে খাবারের অর্ডার দিচ্ছে। সুন্দর এক দিন। নীল সাগরে যাত্রী নিয়ে বোটগুলো আইল্যান্ডের এপার ওপার ছুটছে।    
হঠাৎ করে শিডিউল পড়ল। যাবার কথা ছিল ইউরোপের দিকে। চলে এলাম মালদ্বীপ। দীর্ঘদিন এভিএসনে কাজ করছি। মন আর শরীরে নতুন ইনফরমেশন সেট হয় তার নিজস্ব প্যাটার্নে। নানা দেশের ভৌগলিক অবস্থান ভিন্ন তার সাথে সময়ের কালও ভিন্ন। অসম পরিবেশ আর অচেনা মানুষের উপস্থিতিতে শরীরকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। গতকাল সকালেও জানতাম না আজ এখানে বসে এমন সুন্দর সমুদ্র দেখতে পাবো।        
কাল রাতে যখন ডিউটি কল এল তখন ঘড়ির কাঁটা ঊর্ধ্বমুখী। মধ্যরাত। ঘুমের আড়স্বতা কাটাতে বিছানা ছেড়ে গরম পানির ফোয়ারার ঝাপটায় শ্যাম্পু করে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলাম। ডিউটি বদলে গেছে। মালদ্বীপ যাচ্ছি। ভালই লাগছিল। দীর্ঘদিন পরে ওখানে শিডিউল পড়ল। অপারেশন সেন্টারে যাত্রী সংখ্যা কত হতে পারে তা জেনে খুব ভালো লাগলো। কভিডের এ সময়টায় আজ আমার সাথে প্রায় দুশো যাত্রী রয়েছে। এয়ারলাইনগুলোর মন্দা সময়ে  এটা সুসংবাদ। মানুষ মনে হয় ভাইরাসটির প্রেশার আর নিতে  পারছেনা। হাপিয়ে উঠেছে। এ ক্রান্তিকাল কবে শেষ হবে কে জানে। অপারেশন কন্ট্রোলার জানালো মালদ্বীপ হতে প্রায় হাজার মাইল আগে আবহাওয়ার অবস্থা ভালো নয়। সাবধানে ঐ পথ পাড়ি দিতে হবে। রুটের ঠিক মাঝ বরাবর ঝড়ের অবস্থান। তাছাড়া মালদ্বীপের আবহাওয়াও সুবিধার নয়। বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আগাম পূর্বাভাস রয়েছে। চিন্তার ব্যাপার। পাইলটদের প্রফেশনটা এমনই। সবসময় নির্মল পরিচ্ছন্ন আকাশ আশা করা যায়না।                 
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মালদ্বীপের ভ্যালানা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশে টেকঅফ করলাম।   রাতের আধারে রানওয়ের লাল সবুজ আর হলুদ বাতির আলোরধারা ক্রমশ মিলিয়ে গেল। যে রুট দিয়ে ফ্লাই করব তার আবহাওয়ার ফোরকাষ্ট গুলো ভালোভাবে দেখে নিলাম। রেডিও ফ্রিকুএন্সিগুলো ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে কত হাজার ফুট উঁচুতে উড়তে পারবো আর গতিবেগ কত হবে তা নিয়ে হিসাবনিকাশ করছিলাম। আজ প্রায় দেড় হাজার মাইল সমুদ্রের উপরে থাকতে হবে। যাত্রা পথের নিকটতম  বিমানবন্দরগুলো শতশত মাইল দূরে রয়েছে। এয়ারক্রাফটের যান্ত্রিক ত্রুটি বা যাত্রী সংক্রান্ত কোন সমস্যা দেখা দিলে পাইলটদের বিশেষ ডাইভার্শন প্রসিজিউর ফলো করতে হয়। গন্তব্য হতে বহু শতমাইল আগেই বিভিন্ন দূরত্ব চিহ্নিত করা থাকে। এসব এক বিশেষ গাণিতিক ফর্মুলায় প্রকাশ করা হয়। এইসব চিহ্নিত   লাইনগুলোর আগে ও পরে পাইলটদের সংশ্লিষ্ট কারিগরি বিষয় ছাড়াও ডাইভারসন এয়ারপোর্টের আবহাওয়া আর ব্যাবহার যোগ্যতা নিশ্চিত করতে হয় যাতে করে বিমান নিরাপদে অবতরন করতে পারে। এগুলো কমপ্লেক্স অপারেশনাল প্রসিজিউরের অংশ বিশেষ। তবুও সংক্ষিপ্তভাবে বোঝাবার চেষ্টা করলাম।  

আজকাল প্রতিটি ফ্লাইটে পাইলটদের করনীয় অত্যাবশ্যকীয় কাজের সাথে কভিড উনিশ যদি এয়ারক্রাফটের কোন যাত্রীর মাঝে সনাক্ত হয় তবে কি পদক্ষেপ নিতে হবে তার নোটিশ পাঠিয়ে দেয়া হয়। দেশ ভেদে এই নির্দেশনা ভিন্ন হতে পারে। কিছু দেশের এয়ারলাইনগুলো সুন্দর এক ব্যবস্থা রেখছে। যারা ভ্রমনের টিকেট কিনবে তাদের সুবিধার জন্য কভিড কেইস শনাক্ত করার অনলাইনে  ব্যবস্থা রেখেছে। কে কোথায় ইনফেকটেড হয় তা বলা মুশকিল। আগমনের পরে কোন যাত্রীর যদি কভিড টেস্ট পযিটিভ আসে তার ইনফরমেশন অনলাইনে দেয়া হয়। এটা যে কোন যাত্রী ভ্রমনের কদিনের মধ্যেই দেখতে পারবে তার ফ্লাইটে অন্যকোন যাত্রীর কভিড ইনফেকশন ছিল কিনা।        
উনচল্লিশ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ছি। একিই সাথে নিকটতম এয়ারপোর্টগুলোর খবরাখবর আপডেট করতে হচ্ছে। এমুহূর্তে ভারতের বেঙ্গালুরু আমাদের কাছাকাছি রয়েছে। তাও আবার শ তিনেক মাইল দূরে তার অবস্থান। ওখানে যদিও ঝড়বৃষ্টি নেই তবে কিছুটা কুয়াশ্ছন্ন। আজ বাড়তি কিছু ফুয়েল নিতে হয়েছে। খারাপ আবহাওয়াকে পাশ কাটাতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। বেশি সময় মানে বেশি জ্বালানি তেলের খরচ।     
দক্ষিণপূর্ব দিকে এগুচ্ছিলাম। সেই কখন ওমানের ভূমি ছাড়িয়ে আরব সাগরে প্রবেশ করেছিলাম। এরপর শুধু পানি আর পানি। ঘণ্টা খানেক ফ্লাই করার পর শুরু হল তাণ্ডব। ঝড়কে যতদূর পাশ কাটানো সম্ভব তাই করছিলাম। গভীর সমুদ্রে প্রকৃতি তার শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে চলছিল। ক্রু ও যাত্রীদের আগেভাগে সীট বেল্ট বেঁধে বসে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এ ধরনের ঝাকুনিতে টয়লেটে যাওয়াও নিষেধ। বিমান চলাচলের রুট হতে কতদুর পথের বাইরে গেলাম তা জানিয়ে দিলাম। বহুদুরে ভুমিতে কোন এক অফিস বিল্ডিং এর মধ্যে মুম্বাইয়ের কন্ট্রোলার বিশেষ রেডিও চ্যানেলের মাধ্যমে এয়ারক্রাফটের অবস্থান সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছিল। আরব সাগর আর ভারত মহাসাগরের এই এলাকা মুম্বাই কন্ট্রোল করে থাকে।       
ঝাকুনির মাত্রা কিছুটা সহনীয় হয়ে এলো। ক্যাবিন ক্রুদের ক্যাবিনে যাত্রীদের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে বললাম। খবর পেলাম একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রতিটি ক্যাবিন ক্রুকে এয়ারলাইন বিশেষ প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ তা সঠিক ভাবে জানতে হয়। কভিডের কালে প্রতিটি যাত্রীর মেডিকেল ইস্যু সুক্ষভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। ক্রু রা সমস্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করে ফ্লাইটের ক্যাপটেনকে অবহিত করে।      
শেষ পর্যন্ত দেখা গেল যাত্রীটির প্যানিক এটাক হয়েছে। কভিড নয়। এয়ারক্রাফটের ঝাকুনিতে ঘাবড়ে গিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। কেবিন ক্রুদের পারদর্শিতা ও পরিচর্যায় সে আশ্বস্ত হল। যদি হার্ট অ্যাটাক হতো তবে ডাইভারসন  নিয়ে অন্য কোন বিমানবন্দরে ল্যান্ড করতে হতো। গভীর সাগরে রাতের আঁধারে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ডাইভারসন বেশ স্ট্রেসফুল। তাছাড়া এটা ব্যয়বহুল। তারপরেও যাত্রীর জীবন বাঁচানোর জন্য একজন পাইলটকে যত দ্রুত সম্ভব বিমানকে অবতরন করিয়ে মেডিক্যাল হেল্পের ব্যবস্থা করতে হয়। জরুরী কাজের মধ্যে এই যেমন অপারেশন সেন্টারে খবর দেয়া তার সাথে কোন বিমানবন্দরে অবতরন করবে কিংবা ওখানে সঠিক মেডিক্যাল সার্ভিস পাওয়া যাবে কিনা এমন নানা তথ্য ক্যাপ্টেনকে সংগ্রহ করে অত্যন্ত স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে সর্বচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গেল। আকাশ শান্ত হয়ে আসছে। রাতের আধার কাটছে। দিগন্তে স্কাইলাইন দেখতে পেলাম। নতুন এক সকালের সূচনা । ছেড়া মেঘের ছুটোছুটি সমুদ্রপৃষ্ট হতে প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার ফুট উঁচুতে গিয়ে ঠেকেছে। ক্যাবিন ক্রুরা ব্রেকফাস্ট সার্ভিসের আয়োজন করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে আগত যাত্রীরা নামবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। টয়লেটের সামনে লম্বা লাইন।     

মালদ্বীপ নিয়ে যতই ভাবি ততই অবাক হতে হয়। মাঝ সাগরে এত বড় এয়ারপোর্ট বানানো সহজ কাজ নয়। মালদ্বীপের ভ্যালানা এয়ারপোর্ট প্রথমে ষ্টীলের প্লেইট বসিয়ে বিমান অবতরনের ব্যবস্থা করেছিল। সেটা ১৯৬০ সাল। নিউযিল্যান্ড এয়ারফোর্সের একটি ছোট ফ্রেইটর এয়ারক্রাফট প্রথম অবতরন করে। বাণিজ্যিক বিমান অবতরন করে ১৯৬২ তে। ওটা ছিল এয়ার সিলনের বিমান। ১৯৬৪ সাল হতে বিমান বন্দর উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে বছরে লক্ষ লক্ষ পর্যটক এই বিমানবন্দর দিয়ে আসাযাওয়া করছে।
মালদ্বীপের প্রথম সেটেলার ধরা হয় তামিল আর সিংহলীজদের। এরা দক্ষিন ভারত ও শ্রীলঙ্কা হতে এসেছিল। নিঃসন্দেহে বলা যায় সেসব অভিযান ছিল দুঃসাহসিক। প্রায় দেড়হাজার মাইল আরবসাগর আর ভারত মহাসাগরের উপরে ভেসে এসেছি। মাটি দেখার অদম্য আগ্রহ মাথায় চেপে বসেছে। অথৈ পানিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক দ্বীপের মাঝে মালদ্বীপকে চোখে পড়লো। বেশীরভাগ দ্বীপই আগ্নেয়গিরির লাভাতে সৃষ্ট পাহাড়ি উপত্যকা। মাত্র ছয় ফুট পানির উপরে দৃশ্যমান রানওয়ে। এখানে মানুষ কি চিন্তা করে অতিতে বসতি গড়েছিল ভেবে পাইনা। এদের আদিবাসীদের প্রশংসা করতে হয়।   
ক্যাবিন সুপারভাইযার জানালো যাত্রীদের ব্রেকফাস্ট সার্ভিস শেষের পথে। অবতরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য যাত্রীদের পাবলিক এনাউন্সমেন্ট করা হোল। মালদ্বীপের বর্তমান আবহাওয়া সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। ঝড়বৃষ্টির প্রকোপ কমেছে তবে বাতাসের তীব্রতা তখনো আমাদেরকে ঝাকুনির মধ্যে রেখেছে। ছড়ানো মেঘের ফাকে মাঝে মাঝেই রানওয়ে হারিয়ে যাচ্ছিল। অথৈ সাগরে দুর হতে রানওয়েকে একটা বিন্দুর মত দেখাচ্ছিল। যতই দূরত্ব কমছিল ততই ধীরে ধীরে বিন্দুটি বড় হতে লাগলো। বর্তমান রানওয়ের ঠিক   পূর্বদিকে নতুন আর এক রানওয়ে চোখে পড়লো। পূর্ণোদ্দমে চলছে কাজ আর সাথে থাকবে নতুন টার্মিনাল। আশা করা যায় এ বছরে কাজ শেষ হবে। আমাদের কাছে আগাম যে নোটিস পাঠিয়েছে তাতে দেখা যায় এ বছর সেপ্টেম্বর মাসেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। সাগরের মাঝে এ ধরনের প্রোজেক্ট নিঃসন্দেহে ব্যবহুল।   
রুক্ষ সমুদ্রের দমকা বাতাস আর ক্ষণেক্ষণে পসলা বৃষ্টির মাঝে বৃহদাকার বোয়িং বিমান নিয়ে মালদ্বীপের রানওয়েতে ল্যান্ড করলাম। এখানে এখন বিমান পারকিং এর সংকট। চারিদিকে বিমানবন্দর উন্নয়নের কাজ চলছে তাই এ পরিস্থিতি। এয়ারলাইনগুলোর শিডিউল রক্ষা করা জরুরী। যেখানে পারকিং পেলাম ওখান থেকে যাত্রীদের বাসে করে টার্মিনালে যেতে হচ্ছে। সোশ্যাল ডিসটেন্স আর বৃষ্টির কারনে যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে বেশ সময় লেগে গেল।      
এয়ারপোর্টের হুলুলে আইল্যান্ড হতে সিনামালে ব্রিজ দিয়ে মেইনল্যান্ড মালেতে এলাম। সাগরের উপরে ১.৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ব্রিজ বানানো হয়েছে। এই প্রথম ব্রিজ ক্রস করলাম। আগে মালেতে এসেছি বহুবার। তখন বোটে করে মেইনল্যান্ডে আসতে হতো। জায়গার স্বল্পতায় এখানের রাস্তাগুলো বেশ সরু। অসংখ্য বাইক চোখে পড়লো। যাতায়তের সুবিধার জন্য এর জুড়ি নেই। নির্ধারিত হোটেলের  এন্ট্রিতে প্রত্যেকের তাপমাত্রা রেকর্ড করল। সমস্ত সুটকেস হ্যান্ডব্যাগ সেনিটাইযার দিয়ে স্প্রে করল। তারপরই ঢোকার অনুমতি পেলাম। নিঃসন্দেহে নিরাপদ মুলক ব্যবস্থা। পরিচ্ছন্নতা আর শুদ্ধিমুলক অভিযান।        
রুফটপ রেস্টুরেন্ট থেকে দৃষ্টি তখনও সাগরের দিকে। অরেঞ্জজুস সার্ভ করে গেল। ঝকঝকে রোদ। গতকালের ঝড় বিক্ষুদ্ধ দিন কাটিয়ে নীলাকাশে ছেড়া মেঘের খেলা চলছে। আজ সুন্দর একটি দিন। সমুদ্রের নীল পানিতে সূর্যের হলুদ রোদ ভেসে বেড়াচ্ছে। মানুষের মন বড্ড অদ্ভুত। কতরকম ভাবনাচিন্তা মগজের ভেতরে এসে জড় হয়। দেখা যাবে কোন একদিন এমন এক ভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছে যা নিয়ে সারা বিশ্ব এই কভিড উনিশের মত মানবাত্মার পরিছন্ন অভিযানে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।  

রেহমান রুদ্র ।।

প্রবাসী বাঙালি বৈমানিক ।

হ্যালো জনতার নিয়মিত লেখক ।।  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।