এই শীতের রাতের গল্প -- মুসা কামাল এর কলাম ৩ ।।

 ##A hellojanata.com  Presentation.

'এই শীতের রাতের গল্প ----

মুসা কামাল।। 


শীত পড়েছে। অনেক। আরো কি বেশী পড়বে? আবহাওয়া বিভাগ তাই বলছে। খুব একটা বিশ্বাস নেই। ওরা যদি বলে ঝড় আসবে তাহলে সেই সময়ে ঝলমলে সূর্য হাসে। এমন দেখা যায় সবসময়ই!  দেখাই যাক।  শীত যদি সে ভাবেই এসে পরে তবে গোটা দুয়েক লেপ লাগবেই। একটাতে হবে না ! দেশে শীতে অনেক মানুষ কষ্ট পাবে।প্রতি বৎসর পায়। শীতের দেশ গুলোতে কম্বল পাওয়া যায় তাতে হিটিং সিসটেম থাকে। বিষয়টি কেমন যেন! হিটিং সিসটেম তো বিদ্যুৎ দিয়ে পরিচালিত হয়! যদি ইলেক্টিফায়েড হয়ে যায়?কেমন যেন ভাবনার বিষয়! না এটি নিয়ে ভাববো না । ভাবার দরকার নেই। তেমন কম্বল তো কিনবোই না। তবে ঢাকায় তো সে রকম কম্বল পাওয়া যেতেই পারে। ঢাকায় টাকা দিলে বাঘের চোখ পাওয়া যায় - এমন একটা কথা চালু আছে।

www. hellojanata.com - 

লন্ডন থেকে বন্ধু এনাম হোয়াটস আপ করেছিল - কিরে কি করিস? বিজয় দিবস কেমন করলি? 
জবাব পেল না।বিজয় দিবস টা কেটে গেছে ঘরের ভেতর। বাহিরে যাই নি ।  ঘরের ভেতরেই।  খিচুরি খেয়ে। একাত্তুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা এটা সেটা  খেয়েই যুদ্ধ করতো। মুক্তিবাহিনীর বা যুদ্ধরত দের  তো কোন রেশনিং সিস্টেম ছিল না প্রায় প্রথম মাস গুলোতে । অবস্য যে সেক্টর গুলোতে সে সময়ের ইপিআর বা সেনা সদস্যরা থাকতেন সেখানে রেশন ছিল।সেটি এভাবে সাজানো হয়েছিল যুদ্ধ শেষের মাস দু'য়েক আগে।  তার আগে ছেলে পেলে গুলো( সবাই) এককথায় যুদ্ধ রত রা  খেয়ে না খেয়ে যুদ্ধ করেছে।
সেই একবার পন্চগড়েের দিকে রাতের বেলা মুক্তিবাহিনীর একটা দলকে ভাত খাইয়েছিল গরীব এক কৃষক।সেদিন তার ঘরে চাল ছিল না। তার ছিল একটি পোষা মোরগ,তোলা মোরগ! বেশ বড়সড়। ভেবেছিল ঈদের দিন সামনে এলে মোরগটা বিক্রি করে ঈদের দিনের জন্য সংসারের বাজার টুকু করবেন। তা আর হল কই?
যখনি শুনলেন সেই কৃষক যে,এই ছেলে গুলো দুদিন থেকে প্রায় অভুক্ত, তখন তিনি আর দেরী করেন নাই,ভাবেনও নাই কিছু। সোজা মোরগ টা বিক্রি করে চাল কিনে এনে ছেলেদের চারটে গরম ভাত খাইয়েছিলেন। কেউ ভাবে না ! সেই যুদ্ধের খবর জানে কয়জনা?এখন সেই পবিত্র যুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলতে বাধে না অনেকের। পাকিস্তানি দের স্বপক্ষে কথা বলতেও বাধে না! মাঝে মাঝে মনে হয় ভাল কিছু জানেই না তারা! গঠনমুলক কিছু লিখতেই পারে না। কেন?  বুঝি না! 
 এনামরা লন্ডনে থাকে অনেক দিন । ওখানেই লেখাপড়া সেরেছে । প্রায়ই ফেসবুকে বা এদিক সেদিক দেশ নিয়ে , এটা  নিয়ে, সেটা নিয়ে বিভিন্ন মতামত আমরা দেখতে পাই  । পাণ্ডিত্য জাহির দেখা যায় ।  হাবিজাবি লিখে বা ট্রল  দেখি ! অনেকটাই ভাবতে হয়। বিষণ্ণতা বোধ করি । শুধু কি আমি ? যারা দেশ নিয়ে ভাবেন তাঁরা সবাই এমনটি বোধ করেন বলেই আমার ধারনা । 
 ওকে বলি সে সমস্ত কথা! আমরা সমালোচনায় যে কতটা পটু তা নিয়ে বলি এনামকে। আমাদের ভাবনা তে যে নেগেটিভ ভাইরাস অবস্থান করে সেটি বুঝাতে চেষ্টা করি  ।এনাম শ্রোতা হিসেবে ভাল । শুনে যায় ।  
ওকে একটা গল্প শুনাই -- 
যখন করোনা সারা বিশ্বে মানুষ কে পর্যুদস্ত করা শুরু করলো তখন ক্যালির্ফোনিয়া থেকে বন্ধু আবুল ফেসবুকে আমাদের দেশ বা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কিছু কমেন্ট করছিল ক্রমাগতই । আবুল এক সময় দেশে কিছুই করতে পারছিল না পরে আমেরিকা চলে যায় । সেই থেকেই ওর সাথে কথা চলে।  কথা হয়েছিল ওর সাথে সেই করোনা কালে । বলেছিলাম- দোস্ত শুনো , আমাদের দেশের মানুষ  নিতান্তই নিজেদের 'অযথাই  অভাগা' ভাবতে ভালবাসে। এটা বুঝিবা আমাদের যাপিত জীবনের গল্প ! এর মাঝে এই বিপদে  করোনা বিষয়ে  লিখে , আর তার ফলে  লোকজনদের আরো অভাগা না বানালেই কি তোর চলছে না?আমি তাঁকে আরো ভয় বা বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ করি ।
কে শুনে কার কথা!  সে লিখেই চললো। আরেকদিন ওকে বলেই ফেললাম - কিরে তোর কি কোন কাজ নেই।  সোসাল খাস নাকি?নাকি হেলথ গ্রাউন্ডে কাজ করতে হয় না?নাকি মাস শেষে ফেডারেল গভমেন্টের ডলার পেয়ে চলছিস আর ফলে সারাদিন কোন কাজ থাকে না  তোর হাতে,  অনেক সময় পেয়ে যাচ্ছিস নাকি আর ফেসবুকে ফ্রি লিখে  তাইতো দেশের মানুষ কে ভয় দেখাস। সে রেগে গিয়েছিল  বললো সোসাল খাই মানে?  আমি কিছু বলি না। যা বলার দরকার ছিল বলেছি।  তাঁরও যা জানার দরকার ছিল জেনেছে। অন্য কথায় গেলাম - না মানে অনেকেই তো ইউটিউবার বনে দেশ নিয়ে হাবিজাবি বলে ইউ টিউব থেকে দুটো ডলার কামিয়ে পোষ্য দের দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করে, সে রকম হয়ে যা। আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে ইউ টিউবে সে সমস্ত দেখে , বুঝেও না, জানেও না যে, তাদের এ সমস্ত দর্শনে ইউ টিউব ওই প্রচারকারিদের পেন্স ( ডলার ) প্রদান করে । এগুলো দেখিয়ে তারা প্রবাসে এসাইলামের সুবিধা নেয় । 
 বললাম তোর তাহলে সে দেশে থাকতে সুবিধা হবে ,  আর তুইও দুটো পয়সার মুখ দেখবি!
সে বলে- আরে আমিতো আমেরিকায় আইনগত ভাবেই রয়েছি আর সে সমস্ত করবো কেন - ?
বললাম - এমন কিন্তু বেশ ক'জন করছে! মনে করিয়ে দিতেই আবুল বললো- আরে ওরা তো ফাউল। 
আমি আবুল ওই ফাউল হব কেন? 
কি জানি কি ভাবলো সে! রেখে দিল ফোন। রেগেছে বুঝিবা !  উচিত কথায় বন্ধু বেজাড়! 
আমি ভাবি আমারই বন্ধু,আমারই দোস্ত,আজ কি ভাবে যে সত্যপুত্র যুধিষ্ঠির বনে গেল, সেটাই আমার বোধগম্যতার বাইরে !  করোনায় আমেরিকার অবস্থা ( সে সময়ে) অনেকটাই কাহিল । সে গুলো লিখেনা কেন ? খালি নলেজ কেনো দেশ বাসিকে প্রদান করে ?  

 আমারই দেশের ছেলে আমেরিকা যেয়ে কি যে ভাবছে নিজেকে?
আমার অনেক ভেগে পরা, কেটে পরাদের কথা মনে হয় ! 
 ভাগ্য অন্বেষনে আমেরিকা মুখি হয়েছিল সে। এখন সে দিগগজ পণ্ডিত ! খালি উপদেশ আর সমালোচনা ! বাহ  বেশ ।। 

আজ ডিম ভুনা,খিচুরি আর সালাদ খেয়েছি  - ইনাম কে বলতে আর বলা হয় না ! গল্প করতেকরতে বুঝিবা কিছুটা বিক্ষিপ্ত হই ।  
 
কেন? জানি না।
হোয়াটস আপ রেখে চোখ বন্ধ করে ভাবি ।

মুসা কামাল ।
হ্যালো জনতা ডট কম ।।
19/12/2021. 



মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।