'তোমাকে বধিবে যে,গোকুলে বাড়িছে সে '---- মুসা কামাল।।




 'তোমাকে বধিবে যে,গোকুলে বাড়িছে সে' মুসা কামাল।।

 আসলে মানবাধিকার বলে যারা লম্ফ ঝম্প করেন তারা আসলে বুঝতেই পারেন না —

বিষয়টি আসলে কি?
www. hellojanata.com
যেমন সীমান্তের বিষয় না বুঝেই ‘ গরুচোর’ কথাটি শুনলেই বা পরলেই চিৎকার করেন!
আরে ভাই সীমান্তে বেড়িয়ে আসেন ক’দিন বুঝতে পারবেন কি হয় সেখানে? তাই বলে ভাববেন না যেন আমি সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা সার্পোট করছি।
আপনি কি কখনো বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলে ভ্রমন করেছেন? ধরুন সেই সময় টিতে যখন Rab তৈরী হয় সেই সময় টিতে এদিকটায় গিয়েছিলেন। তখন কিন্তু ‘গলা কাটার রাজনীতি’ গ্রাম থেকে গ্রামান্তরের নিশুতি রাত কে দিনের পরে দিন আতঙ্কিত করে রেখেছিল। সেই সময়ের কথা বলছি। সেই সময়ে সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষে কিছুই করার ছিল না, মৃত স্বজনদের পোস্টমর্টেম করা ছাড়া! বাংলাদেশের এ ধরনের হত্যাকান্ডে কাজী আরেফ আহমেদ আর সেই সাথে আরো ৫/৬ জনের হত্যাকান্ডের উপমা দেয়া যেতে পারে,স্মরন করা যেতে পারে । মনে করা যেতে পারে চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের কমরেড মোখলেছুর রহমানের হত্যাকান্ডের কথা।কমরেড মোখলেছ ছিলেন বামপন্থী নেতা। যতদুর মনে পরে তিনি জনাব মেনন সাহেবের দলের পলিট বুরোর সদস্য ছিলেন। তাঁকে যখন রাতের বেলা মাঠের মধ্যে হত্যা করা হয়, তখন প্রথমে তার দুই পায়ে গুলি করা হয়। ফলে তিনি মাঠে পরে গেলে তার গলায় ছুরি চালানো হয়। এটাকে ‘জবাই’ বলে!
আপনি কি শিহরিত হচ্ছেন?
www. hellojanata.com
এটি অনেক ক’বৎসর আগের ঘটনা! যারা জানেন তারা জানেন যে আমার বক্তব্য মোটেই বানানো নয়। আমি সেই এলাকার,সেই ঘটনার একজন নিকটবর্তী প্রত্যক্ষদর্শী বটে। এখন সে সকল হত্যাকারী কে আপনি কি ভাবে বিচার করবেন?এরা অনেক অস্ত্র( দেশি আর বিদেশী) সজ্জিত থাকতো অব্যসই! তাহলে? নিজেকে প্রশ্ন করুন!এখানে সেই সকল হত্যা কারীদের ক্ষেত্রে মানবাধিকার কথাটি খাটে??
আমাদের অনেক বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনাকারিরা সেই দিন গুলিতে দাবী করতেন ‘ক্রশফায়ার’ নামক কার্যক্রমের মাধ্যমে এদেশে মানবাধিকার লন্ঘন হচ্ছে। ঢাকায় বসে এ ধরনের দাবী সমুহের কোন যৌক্তিকতা আমি কোনদিনই খুজে পাই নাই।
এঁরা সকলেই চিনহিত । আমরা সবাই এই বুদ্ধিজীবীদের টেলিভিশন গরম করতে দেখি প্রায়সই ।
আপনি কিন্তু এই বুদ্ধিজীবিদের সেই সময়ে দশ/ পনের বৎসর আগে কোটি টাকা দিয়েও বাংলাদেশের দক্ষিনে একটি রাত কাটাবার জন্য নিতেই পারতেন না এটি শতভাগ সত্য। তারা জানতেন সে এলাকার পরিস্থিতি।
ঢাকায় বসে কথা বলা সহজ এবং তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত অবশ্যই ।
বুদ্ধিজীবী সাহেব আর মহাদয়া কি জানেন অশান্ত দক্ষিন অঞ্চল এই পাবনা থেকে খুলনা শান্ত হয়েছিল কি ভাবে ?
আর শুধু সে অন্চলের কথাই বা বলছি কেন? মেনন সাহেবকে কি ঢাকায় সর্বহারা কথিতরা গুলি করে নাই?
সারা দেশেই এ ধরনের অনেক অস্ত্র ধারী দলের অস্তিত্ব ছিল। আমরা সবাই আমাদের আইন আদালতের কথা জানি। জেল বা হাজত থেকে বেরিয়ে আসা কোন বিষয় না!
এখন আসি তাদের কথায়।
তারা কেন মানবাধিকার,মানবাধিকার বলে চিৎকার করেন? কাদের রক্ষা করতে চান তাঁরা ?
পাঠক মানেই জানেন দক্ষিনের সুন্দরবন এলাকায় কয়লা পরিচালিত বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মান হচ্ছে। এখন কাজ শেষের দিকে। এই কার্যক্রম শুরু হয় বৎসর সাতেক আগে।
এখন থেকে বৎসর ২/৩ আগে ঢাকায় একদম হঠাৎ করেই ওই বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন আসতেই পারে – আরে ভাই কেন্দ্র তো তৈরী করা শুরু হয়েছিল সাত বৎসর আগে! তবে এতো দেরী তে আন্দোলন কেন?
এর কারন আমি বলতে পারছি না। তবে স্মরন করিয়ে দিতে চাই ঠিক আন্দোলন শুরুর সময়টির আগে আগেই ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান ওই বিদ্যুত কেন্দ্রের বিশাল অংকের টেন্ডার পেয়েছিল। অংক টি অনেক বড় এবং তা ডলারে। কেউ বা নেতারা আন্দোলন করে কিছুমিছু পেয়েছিলেন কিনা তাও জানি না! আজো ওই আন্দলনের নেতাদের আমরা বড় বড় কথা বলতে দেখি টেলিভিশনে । তবে জানি না ঠিক কি ভাবে তাঁরা সেই আন্দোলন থামিয়েছিলেন ! জি জনাব ক’দিন পরেই আবার আন্দোলন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কেন ভাই কি দিয়ে মুখ বন্ধ হয়েছিল ??
আমাদের মানবাধিকার নেতা সাহেবদের স্বরুপ যাই হোক না কেন এনারা সবাই এনজিও চালান। তাদের এনজিও চলে বিদেশী ডলারে – একথা সবাই জানেন।
আর সে সমস্ত ডলারের কারনে এই সমস্ত ভদ্রলোকেরা হীন উপায়ে দেশের ক্ষতি করতে একটুও পিছপা হন না বলেই ধারনা করছি ।
এরা মানবাধিকার মানবাধিকার করে চিৎকার করেছেন গত পনের/বিশ বৎসর জুরে। ফলাফল এখন এসেছে।
তক্কে তক্কে ছিল এ কথা বলাই যায়। গ্লোবাল রাজনীতিতে পরিবর্তন আসছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে চীন আমেরিকাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের নিজের প্রয়োজনে চীনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতেই হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে অর্থ বিশ্ব ব্যাংক দেয় নাই। আর বাংলাদেশ নিজের অর্থায়নে সেই সেতুর কাজ শেষ করেছে। হা এ কথা অনস্বীকার্য যে চীন এখানে সহায়তা করেছে। সেটিও চক্ষুশুলের কারন তো হতেই পারে!
Rab বা পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে তারা এতদিন চিৎকার করেছে, এখন তারা বুঝিবা মুচকি হাসছেন এই ভেবে যে প্রভুদের পদলেহন বুঝিবা এতোদিনে স্বার্থক হলো। আপনাদের মনে আছে যে, নারায়নগন্জের ডেভিড হত্যার ( প্রথম ক্রশফায়ার) মাধ্যমে একদিন ক্রশফায়ার শুরু হয়েছিল এ দেশে ।
তখন ছিল বিএনপির সরকারের আমল। তখনি Rab তৈরী হয়েছিল।সম্ভবত ডেভিডের ক্রশফায়ার ছিল Rab এর প্রথম কার্যক্রম। তখন থেকেই মানবাধিকার সংস্থা গুলো আলোচনার সামনের কাতারে আসেন ।
আর যারা সুযোগ নেবেন তারা তো রইল সময়ের প্রতিক্ষায়।আর এখনি সুযোগ। সেই সুযোগ তারা নিয়েছে।
কি কারণে কোথায় কে হত্যা/ ক্রশফায়ার হয়েছেন তার বিচারের দায়িত্ব আমার নয়। আমি শুধু আমি প্রশ্ন করতে পারি —
# যে যে হত্যাকান্ড’র শিকার হয়েছেন তারা কি রকম বা কত খানি পরিস্কার ছিলেন?
# পরিস্কার মানুষ দের পার্সেন্টিজ কতো?
# তাদের কি আইনের আওতায় আনা যেত?
# আর আওতায় আনলেও কি তাদের সঠিক বিচার হোত?
জবাব সবাই জানেন।
কিন্তু বুঝতে পারেন নাই আমাদের মানবাধিকার কর্মী আর নেতারা! তাঁদের চিৎকারে আজ সুযোগ নিয়েছে গ্লোবাল সুবিধাবাদী চক্র। দেশের ক্ষতি হল।
বেশ ক’জনের আমেরিকা ভ্রমন নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকার স্টেট ডির্পাটমেন্ট।
এতে করে ওই ক’জনের আমেরিকা ভ্রমন হয়তবা বিঘ্নিত হবে। এর বেশি কিছু নয়।
কিন্তু দেশের ভাবমুর্তির বেশ ক্ষতি হল।এখানেই কি শেষ ! নাকি আরো কিছু আছে বাকী ?? 
আমি এমনটি ভাবছি।অন্য কিছুই ভাবতে পারছি না কেননা 
# বিশেষত আমি যদি জর্জ ফ্লয়েডের  ছবিটি না দেখতাম!

# বিশেষত আমি যদি -Black life mattar’s – আন্দোলন না দেখতাম!



—————


# বিশেষত আমি যদি না দেখতাম প্রায় প্রতি সপ্তাহে আমেরিকায় প্রকাশ্যে গুলিতে স্কুল ছাত্র, বেসামরিক শান্তি প্রিয় মানুষের মৃত্যু ।
# বিশেষত আমি যদি দেশের ক্ষতি করা এই বুদ্ধিবৃত্তিক মানবতা কর্মী দের স্বরুপ না চিনতাম!

এরাই দেশের খেয়ে,দেশের পরে- দেশের ক্ষতি করে,করছে এবং করবে।
তাই বলছিলাম- “তোমাকে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে “!
আসলে দেশের যদি কোন ক্ষতি হয়ে থাকে তবে তারাই করলো সে ক্ষতি!!!



মুসা কামাল।।
সম্পাদক ।।
হ্যালো জনতা ডট কম ।।
hellojanata,com
——————
## ~~~~~~~ ভুলতে না পারার গল্প ~~~~~~~
## লক্ষ্য রাখুন –’ভুলতে না পারার গল্প’-কেমন ছিল আজকের এই দিনটি?১৬ই ডিসেম্বর-আমাদের সেই মহান একাত্তুরে-! – প্রকাশিত হবে ১৬ই ডিসেম্বর সকালে।। ##


—————–——-

হ্যালো জনতা ডেস্ক ।।
হ্যালো জনতা ডট কম।।
hellojanata. com .

হ্যালো জনতার ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।।
https://hellojanata350.blogspot.com/
# Copy and paste to your browser .
আমাদের ব্লগ —-Subscribe our blog .
https://hellojanata350.blogspot.com/
Copy and paste to your browser .
Follow us on —-
# facebook –
@ https://www.facebook.com/hellojanata/
#Twitter–
@ @BinMostanjir
# inastagram —
@ 121kamalbd
# linkedin
@ https://www.linkedin.com/feed/

## hellojanata.com ##

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।