‘প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ৩৪ – নাগর দোলার দোলা!! # আকরাম উদ্দিন আহমেদ।

 ## A hellojanata.com Presentation

‘প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ৩৪ – নাগর দোলার দোলা!! # আকরাম উদ্দিন আহমেদ।





প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ৩৪ –
নাগর দোলার দোলা!!
# আকরাম উদ্দিন আহমেদ।

নাগর দোলার দোলা!!
নাগরদোলা, নামটি শুনলেই মনের মধ্যে কেমন যেন একটা দোলা লাগে। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে সেই ছোটবেলায়। মনে পড়ে যায় গ্রাম বাংলার মেলা, পার্বণ আর নানা স্মৃতি।
বাংলাদেশের বিভিন্ন মেলা ও উৎসব বা অনুষ্ঠানে এই নাগরদোলা শিশুদের একটি বাড়তি বিনোদন এনে দেয়। মেলায় নাগর দোলা না থাকলে তা ঐ মেলার পূর্ণতা পায়না। একসময়ে বাংলাদেশের তৎকালীন মহকুমা এবং জেলা সদর গুলোতে প্রতিবছর শীত কালে সরকারি উদ্দোগে “কৃষি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতো। এই প্রদর্শনীর প্রতিটিতে শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগর দোলার ব‍্যবস্থা থাকত। বাচ্চারা যখন কোন মেলায় যায় সে যদি কোন নাগর দোলায় না উঠে তাহলে তার বিনোদনের একটি অপূর্ণতা থেকেই যায়। সে কারনে বাচ্চারা বাবা মায়ের কাছে আবদার করে বসে নাগরদোলায় উঠার জন্য । যদিও বাচ্চারা এটিতে উঠতে ভয় পায় । কারন যখন এটি উপর থেকে নিচে নামে তখন মনে হয় নিচে পড়ে গেলো । তখন সবাই একটু ভয় পায় । যদিও বিষয়টি খুব রোমাঞ্চকর ও উপভোগ্য ।

ছোটবেলাতে আমরাও অনেক নাগরদোলাতে উঠেছি। প্রথম দিকে খুব ভয় পেতাম । কিন্তু অভ্যাস হয়ে যাওয়ার পর আর ভয় লাগত না। তারপর বেশ মজা পেতাম । আমাদের মহকুমা শহরে প্রতিবছর বাৎসরিক কৃষি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতো। সেখানে নাগরদোলার ব‍্যাবস্থা করা হতো। আমরা বন্ধুরা মেলাতে গেলে সবাই নাগর দোলাতে উঠে তা উপভোগ করতাম । প্রথম দিকে দু’চারজন লোক এগুলো ধাক্কা দিয়ে নীচে থেকে এটি পরিচালনা করত। তারা নিচে থেকে নাগরদোলা ঘুরাত। তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমান ঘুরাত। পরে মহকুমা শহর গুলো পুরোপুরি বিদ‍্যুতায়ীত হলে মানুষের ধাক্কা দেওয়ার পরিবর্তে ইলেকট্রিক মটরের সাহায্যে এটি ঘুরানোর হতো। এখন রাজধানী সহ বিভাগীয় শহর গুলোতে বিভিন্ন রকম শিশু পার্কে বৈচিত্র্যময় উন্নত মানের নাগর দোলা দেখতে পাওয়া যায়।

আজকাল অনেক শিশু বিশেষ করে পল্লী অঞ্চলের শিশুরা মেলায় যেতে বাবা মায়ের কাছে বায়না ধরে, তাদের উদ্দেশ্য অভিন্ন । তারা সবাই নাগর দোলায় উঠবে। এখনকার পহেলা বৈশাখের মেলাতে এবং বিভিন্ন রকম উৎসবে এগুলো অন্যরকম আনান্দ এনে দেয়। শিশুদের এই বাড়তি বিনোদন বাংলাদেশের ঐতিহ্য। বহুকাল থেকেই মেলাতে নাগরদোলার সমাগম ঘটে আসছে। তবে শহুরে বাচ্চারা এখন নাগরদোলায় ওঠে না। তাদের পছন্দ নানা ধরনের ইলেকক্ট্রনিক রাইড।

শিশুদের জন্য একটি সুস্থ্য বিনোদন নাগর দোলার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করতে পারলে শহুরে শিশুরাও নাগর দোলার প্রতি আকৃষ্ট হবে বলেই আশা করা যায়।

আকরাম উদ্দিন আহমেদ
লেখক
কুড়িগ্রাম।
০৫/০৩/২০২২







 আকরাম উদ্দিন আহমেদ ।

লেখক ।।
কুড়িগ্রাম ।। ২৬/০২/২০২২।
# জনাব আকরাম উদ্দিন আহমেদ হ্যালো জনতার নিয়মিত লেখক ।।
# তাঁর সকল লেখা আমাদের ব্লগ এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয় ।।
হ্যালো জনতা ডট কম।।
www. hellojanata.com –

হ্যালো জনতার ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।।
hellojanata.com —আকরাম উদ্দিন আহমেদ
https://hellojanata350.blogspot.com–

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।