প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ৩৯ - হারিয়ে যাচ্ছে কুপি বাতি!! # আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
## A hellojanata.com Presentation
প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ৩৯ -
হারিয়ে যাচ্ছে কুপি বাতি!!
# আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
হারিয়ে যাচ্ছে কুপি বাতি !!
আধুনিকতার সংস্পর্শে এবং বৈদ্যুতিক যুগে বতর্মানে আহবহমান গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় কুপি বাতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই কুপি বাতি এখন শুধুই স্মৃতি। গ্রামীণ জীবনে অন্ধকার দূর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল কুপি বাতি। কুপি বাতি জ্বালিয়ে রাতে গৃহস্থালির কাজ করত গৃহিণীরা, রাস্তায় চলাচলসহ উঠানে কিংবা বারান্দায় অথবা ঘরে পড়াশোনা করত ছেলেমেয়েরা।
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আবহমান গ্রামবাংলার কুপি বাতি যেন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলা থেকে। এক সময় গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এই কুপি বাতি আলো ছড়িয়ে দিত। গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা প্রয়োজনীয় কুপি বাতি আজ বিলীন হয়ে গেছে বললেই চলে। এ দৃশ্য এখন আর গ্রামীণ সমাজে চোখে পড়ে না। কালের বির্বতনে বর্তমানে কুপি বাতির পরিবর্তে স্থান করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, সোলার প্লান্ট, চার্জার লাইট, চার্জার ল্যাম্পসহ আরো অনেক কিছুই।
আমাদের গ্রামবাংলার কুপি বাতিগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারি রঙের। এই কুপিগুলো তৈরি হত কাঁচ, মাটি, লোহা, টিন আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাংলার মানুষ সামর্থ অনুযায়ী কুপি কিনে ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারণত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত বড় ও ছোট। বেশি আলোর প্রয়োজনে কুপিবাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরি গছা অথবা স্ট্যান্ডের উপর রাখা হতো। এই গছা অথবা স্ট্যান্ডগুলো ছিল বাহারি ডিজাইনের।
কুপি বাতির তেল আনার জন্য প্রতিটি বাড়িতেই ছিল বিশেষ ধরনের কাঁচের ও প্লাস্টিকের বোতল। সেই বোতলের গলায় রশি ঝুলিয়ে বাজার থেকে তেল এনে বাড়িতে বাঁশের খুটিতে ঝুলিয়ে রাখা হতো। তবে কুপি বাতি খোলা হওয়ার কারনে একটু জোরে হাওয়া লাগলে এটি নিভে যেত। এটি অনিরাপদ ছিল এবং অনেক সময়েই এর শিখা দাহ্য বস্তুর সংস্পর্শে এলে এটি থেকে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হতো।
হাট-বাজারে সন্ধ্যা হলেই এক সময় জ্বল জ্বল করতো হাতবাতি। কিন্তু সময়ের সাথে এখন হাট-বাজারে জ্বলে উঠে বিদুৎতের আলো। তাই গ্রামে ও শহরের হাটবাজার গুলোতে কেরোসিনের বাতি ও চুঙ্গা এখন আর নজরে পড়ে না।
রুপসী-গ্রামবাংলা আপামর মানুষের কাছে কুপিবাতির কদর কমে গেলেও আবার কেউ কেউ এই কুপিবাতির স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকেই স্বযত্নে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের নিদর্শন স্বরূপ কুপিবাতি সংরক্ষণ করে রেখেছেন। কুপিবাতির ব্যবহার ও কদর যেহারে হ্রাস পাচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে এটি শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে।
আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
লেখক
কুড়িগ্রাম।
০৯/০৪/২০২২
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আবহমান গ্রামবাংলার কুপি বাতি যেন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলা থেকে। এক সময় গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এই কুপি বাতি আলো ছড়িয়ে দিত। গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা প্রয়োজনীয় কুপি বাতি আজ বিলীন হয়ে গেছে বললেই চলে। এ দৃশ্য এখন আর গ্রামীণ সমাজে চোখে পড়ে না। কালের বির্বতনে বর্তমানে কুপি বাতির পরিবর্তে স্থান করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, সোলার প্লান্ট, চার্জার লাইট, চার্জার ল্যাম্পসহ আরো অনেক কিছুই।
আমাদের গ্রামবাংলার কুপি বাতিগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারি রঙের। এই কুপিগুলো তৈরি হত কাঁচ, মাটি, লোহা, টিন আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাংলার মানুষ সামর্থ অনুযায়ী কুপি কিনে ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারণত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত বড় ও ছোট। বেশি আলোর প্রয়োজনে কুপিবাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরি গছা অথবা স্ট্যান্ডের উপর রাখা হতো। এই গছা অথবা স্ট্যান্ডগুলো ছিল বাহারি ডিজাইনের।
কুপি বাতির তেল আনার জন্য প্রতিটি বাড়িতেই ছিল বিশেষ ধরনের কাঁচের ও প্লাস্টিকের বোতল। সেই বোতলের গলায় রশি ঝুলিয়ে বাজার থেকে তেল এনে বাড়িতে বাঁশের খুটিতে ঝুলিয়ে রাখা হতো। তবে কুপি বাতি খোলা হওয়ার কারনে একটু জোরে হাওয়া লাগলে এটি নিভে যেত। এটি অনিরাপদ ছিল এবং অনেক সময়েই এর শিখা দাহ্য বস্তুর সংস্পর্শে এলে এটি থেকে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হতো।
হাট-বাজারে সন্ধ্যা হলেই এক সময় জ্বল জ্বল করতো হাতবাতি। কিন্তু সময়ের সাথে এখন হাট-বাজারে জ্বলে উঠে বিদুৎতের আলো। তাই গ্রামে ও শহরের হাটবাজার গুলোতে কেরোসিনের বাতি ও চুঙ্গা এখন আর নজরে পড়ে না।
রুপসী-গ্রামবাংলা আপামর মানুষের কাছে কুপিবাতির কদর কমে গেলেও আবার কেউ কেউ এই কুপিবাতির স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকেই স্বযত্নে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের নিদর্শন স্বরূপ কুপিবাতি সংরক্ষণ করে রেখেছেন। কুপিবাতির ব্যবহার ও কদর যেহারে হ্রাস পাচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে এটি শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে।
আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
লেখক
কুড়িগ্রাম।
০৯/০৪/২০২২
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন