চা- ই – শিরিন! লিখেছেন সালমা চৌধুরী ।
## A hellojanata.com Presentation --
চা-ই–শিরিন! লিখেছেন সালমা চৌধুরী ।
চা- ই – শিরিন!’
সালমা চৌধুরী ।।
সত্যি বলতে কি চা নিয়ে যতো আলোচনাই হোক না কেন, এই “চা- এ -চর্চা”র আবেদন কিন্তু ফুরাবার নয়! চা সবসময় সব আসরের মধ্যমণি।
চা পাতার যেমন রয়েছে নানান রকমফের তেমনি চা তৈরি ও চা পানের রয়েছে নানান উপায় ও ভংগিমা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে চা পান করা হয়।
স্বয়ং সুকুমার রায় লিখে গেছেন তাঁর বাড়ির চা বৈচিত্র্যের কথা। তাঁর বাড়িতে যতো রকমের বিচিত্র ,খেয়ালী এবং প্রতিভাধর মানুষ ছিলেন, তাদের জন্যে নাকি ততরকম উদ্ভট চায়ের ভিন্ন ভিন্ন লিস্ট থাকতো।
সকাল বিকাল গরম ধোঁওয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে গপ্পো করাটা বোধহয় সব রসিক বাঙালিরই অন্যতম বিনোদন। তবে চায়ের ব্যাপারে ইরানিরাও কিন্তু কম যায় না।
———————-
ফিচার গ্রুপ ~~
আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ২৭ মে দেখুন ” : দ্যা পিয়েতা- রেনেসাঁ যুগের মহান শিল্পী মাইকেলেএঞ্জেলো/মিকেলাঞ্জেলোর দ্যা পিয়েতা ” ।
একটি ‘এমকে ( MK ) ‘সংগ্রহ এবং লিখনি ~~
ফিচার গ্রুপ ।
————-
শুনেছি ইরানিরা বলে, ” কড়া চায়ের গন্ধে পাগল হয়ে, চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ঠোঁটই যদি না পোড়ে তবে আর কিসের চা!” তারমানে এখানে বাঙ্গালীদের সাথে তাদের মিল আছে।
আরেকটি মিল আছেই তা হলো, বেলা অবেলায় ইরানি আর বাঙালীর চা চাই… অর্থাৎ চায়ের ক্ষেত্রে কোন “বারবেলা” নেই এদের। ইরানের “চা-ই- খানা”গুলো সারাদিন কড়া লিকারের চা এর গন্ধে মৌ মৌ করে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অমিল দেখা যায়! এই যেমন ধরুন, দুধ চায়ের চেয়ে, ইরানিরা বরংচ একেবারে ফুটন্ত গরম পানিতে পাতা দিয়ে জ্বেলে রং চা খেতে খুব পছন্দ করে। কেঊ কেঊ আবার চায়ের তেতো ভাব ছাড়াতে মিষ্টি যোগ করে।
তবে সাবধান! ইরানে চা পান করতে যেয়ে যদি চা এ “দু চামচ” চিনিখোর বাঙালি টুং টুং করে চিনি গোলানোর জন্য চামচ চেয়ে বসেন, তবে সবাই খুব অবাক দৃষ্টিতে তাকাবে! কারন ইরানীরা সাধারণত চায়ে গুড়ো চিনি খায় না।
ইরানিরা চায়ে চিনির কিউব বা ‘ঘণ চৌকো চিনি’ ব্যবহার করে থাকে। আর সে চিনির কিউবটি চা পানের সময় মুখের সামনের দাঁত কপাটির মাঝে কামড় দিয়ে রাখে।
এরপর চা এর কাপে একটা চুমুক দেয় আর সেই চা চিনির কিউব এর ভিতর দিয়ে মুখে প্রবেশ করে তখন তা মিষ্টি লাগে। এ এক দারুন, সম্পূর্ণ অন্যরকম অনূভুতি!
দুম করে চিনির কিউবটি মুখে নিয়ে পুরোটা কামড়ে খেলে কিংবা কোৎ করে গিলে খেলে কিন্তু ইরানি চায়ের আসল মজাটা পাওয়া যাবে না।
এছাড়া ইরানীরা চায়ে ‘ নাবাত’ বা ‘ কান্দ’ এর মতো sugar stick ও saffron rock candy ব্যবহার করে থাকে। এটাই ইরানিদের “চা- ই- শিরিন” বা “মিষ্টি চা।”
ইরানিদের বাড়িতে চা এর সাথে নানান রকম শুকনা ফল, খেজুর ও বাদাম দিয়ে আপ্যায়নের রেওয়াজ আছে। তবে খোরমাটা অবশ্যই থাকে চা এর সাথে, কারন রসুল (সাঃ) খোরমা খেতে পছন্দ করতেন তাই ইরানিদের কাছে খোরমা খাওয়াটা জনপ্রিয় ও সুন্নাহ।
এছাড়া চা এর সাথে চকলেট খাবার প্রবণতা রয়েছে।
তবে এ চা এ শিরিন বা মিষ্টি চা ছাড়াও ইরানে আরো অনেক ধরনের চা প্রচলিত যেমন-
– চা এ থাল্ক বা তিতা চা।
– চা এ ইয়াখ বা আইস টি।
– চা এ আদবি বা মসলা চা।
– চা এ সাবজি বা হার্বাল চা।
যাই হোক, বাঙালীদের সাথে টেক্কা দিয়ে ইরানিরাও চা নিয়ে কিন্তু বেশ আগুয়ান। তবে আমার মনে হয়, চা নিয়ে এত কিছু বলাটা আসলে বাতুলতা মাত্র। স্থান কাল পাত্র যাই হোক না কেন, আসলে চা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় পানীয়!
তাইতো সবশেষে বলতে চাই, আনন্দে বিরহে, আড্ডায় আহ্লাদে, তর্কে-বিতর্কে তবে এগিয়ে চলুক চা এর এই জয় যাত্রা….
আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস!
লেখিকা – সালমা চৌধুরী।।
আমন্ত্রিত লেখিকা ।
হ্যালো জনতা ডট কম ।
hellojanata.com .
হ্যালো জনতার ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।।
কপি অ্যান্ড পেস্ট টু ইওর ব্রাউসার ।
https://hellojanata350.blogspot.com–
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন