The Pieta: দ্যা পিয়েতা- রেনেসাঁ যুগের মহান শিল্পী মাইকেলএঞ্জেলো/মিকেলেঞ্জেলোর ‘দ্যা পিয়েতা’ ।

 ## A hellojanata.com Presentation  --


The Pieta : দ্যা পিয়েতা- রেনেসাঁ যুগের মহান শিল্পী মাইকেলএঞ্জেলো/মিকেলেঞ্জেলোর ‘দ্যা পিয়েতা’ ।



# মাইকেলএঞ্জেলো বা মিকেলেঞ্জেলো । #


# রোমের ভ্যাটিকান সিটিতে ‘ দ্যা পিয়েতা ‘ । #

মাইকেলএঞ্জেলো বা মিকেলেঞ্জেলো – এই দুই নামেই ডাকা হয়ে থাকে এই মহান শিল্পী কে । রেনেসাঁ যুগে যে কয়েক জন শিল্পী,সাহিত্যিক,স্থপতি,চিত্রকর,বিজ্ঞানী আজো পৃথিবীতে তাদের নামের মহাত্ত্য ঘোষণা করে চলেছেন তাঁদের মধ্যে মাইকেল এঞ্জেলো অন্যতম । তাঁর পুরো নাম মাইকেলেঞ্জেলো দি লোদোভিকো বুওনারোত্তি সিমোনি।

মাইকেলএঞ্জেলো’র জন্ম ১৪৭৫ সালের ৬ মার্চ এবং মৃত্যু ১৫৬৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি । তিনি ইতালির তুসকানি এলাক্য জন্ম গ্রহন করেন । তিনি বাস করতেন ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে । তিনি মুলত একজন তৈল চিত্রকার, স্থাপত্য,আর্কিটেক্ট,ড্রইং বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন ।স্থাপত্য এ ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে তাঁর আগ্রহ সম্পর্কে জানা যায় ।তিনি তৈল,কাঠ এবং পাথরের ব্যবহারে ছবি বা স্থাপত্য নির্মাণ করতেন ।
তিনি মানব দেহের গঠন বিশেষত্ব এবং প্রণালি সম্পর্কে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন বলেই জানা যায় । তিনি মানব দেহের গঠন প্রণালী জানতে মৃতদেহের ব্যবচ্ছেদ করে এ ব্যাপারে ব্যাপক বুৎপত্তি লাভ করেছিলেন ।
আর সেই বুৎপত্তি থেকেই তিনি এক স্থাপত্য বানান যার নাম ‘ ডেভিড ‘! মানব দেহের এত সঠিক জ্যামিতিক পরিমাপ আর কখনোই কোথাও পাওয়া যায় নাই,কেউ বানাতেও পারেন নাই, যদিও অনেকেই চেষ্টা করেছেন আর একটি ‘ডেভিড’বানাতে কিন্তু সেটি সম্ভব হয় নাই । এটি ভ্যাটিকান সিটির ‘সিস্টিন চ্যাপেলে’ রয়েছে ।



# ডেভিড -সেন্ট পিটাস ব্যাসিলিকা, সিস্টিন চ্যাপেল , ভ্যাটিকান সিটি , রোম , ইতালি ।#

মানব দেহের গঠন প্রণালীর এত সঠিক অনুকরন আজ পর্যন্ত কেউ বানাতে পারেন নাই ।

ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা’র দেওয়ালে বা ছাদে একের পর এক মাইকেলএঞ্জেলো’র ফ্রেস্কো রয়েছে ।
ফ্রেস্কো হল ছবি আঁকার এক কায়দা যা সচরাচর ম্যুরাল আঁকার সময় ব্যবহৃত হয় । সরাসরি ছাদে বা দেয়ালে ছবি আঁকাকেই বলে ফ্রেস্কো ।

এ ছাড়াও সেখানে রয়েছে মাইকেলএঞ্জেলো’র অনবদ্য সব স্থাপত্য, এগুলি ভাস্কর্য । মার্বেল পাথরে তৈরি । জানা যায় যে মাইকেলএঞ্জেলো নিজেই এ সমস্ত মার্বেল পাথর জোগাড় করতেন বা কিনে আনতেন । তাঁর বানানো স্থাপত্য সমুহের মধ্যে’ দ্যা পিয়েতা/দ্যা পিয়েটা’ ,ডেভিড’, ‘ম্যাডোনা অফ দ্যা স্টেপ্স’ এ সবের কথা উল্লেখযোগ্য । শিল্পীর এ সকল কীর্তি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এখন সুরক্ষিত করা আছে ।

মাইকেলএঞ্জেলো’র হাতে গড়া’দ্যা পিয়েতা’ ইউরোপের রেনেসাঁ বা নবজাগরনের সময়ের এক অনুপম এক ভাস্কর্য ,যা এ যাবত কালের শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য হিসাবেই পরিগণিত হয়েছে বা হচ্ছে । তিনি ১৪৯৮ সালে এর কাজ শুরু করেন । শেষ করেন ১৪৯৯ সালে ।
এই ভাস্কর্যে দেখা যায় মা মেরি বসে আছেন কোলে তাঁর ক্রুস বিদ্ধ যিশু খৃস্ট । বড় করুন আর বিষণ্ণ মা মেরি ।
আর তাকিয়ে থাকলেই অনুভব করা যায় মা মেরীর বসার ভঙ্গিমার মধ্যেই ফুটে উঠছে মাতৃত্বের এক আশ্চর্য জীবন্ত ছবি আর প্রতিছবি !
ভাস্কর্য টির বক্তব্য এখানেই শেষ নয়,উপরের শূন্য থেকে শুরু হয়ে ক্রমাগতই নিচের দিকে প্রসারিত হয়েছে এটি,যা কেবল মাত্র জ্যামিতিক পরিভাষায় মাপা সম্ভব ।

প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন ধর্ম আর গোত্রের মানুষ এখানে পরিদর্শনে আসেন । দেখেন
মাইকেলএঞ্জেলো , তাঁর ছাত্র রাফায়েল ,সমসাময়িক রেনেসাঁ শিল্পী বত্তিচেলি’র হাতের অসংখ্য কারুকার্য ।

এবং সে কারনেই মাইকেলএঞ্জেলো এত বড় ভাস্কর্য শিল্পী হিসাবেই পরিচিতি লাভ করেন । মাইকেলএঞ্জেলো সে সময়ের ভ্যাটিকান সিটির ডিক্রী লাভ করেছিলেন ।

মাইকেলএঞ্জেলো সিসটিন চ্যাপেলের ছাদে যে ফ্রেসকো (আদি চিত্রকলা) গুলি এঁকেছিলেন সে সম্পর্কে এর পরের এপিসোডে বলার চেষ্টা করা হবে । সিসটিন চ্যাপেল(সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা)রোমের ভ্যাটিকান সিটিতে অবস্থিত । এখানেই পোপ বাস করেন ।
এটি রোমান ক্যাথিলিকদের পবিত্র স্থান ।
তবে এখানে প্রবেশ করা যায় ( সংরক্ষিত স্থান সমুহ ছাড়া ) । আমি প্রবেশ করেছিলাম একাধিক বার ।

একটি ‘এম কে ‘ সংগ্রহ ও লিখনি ~~




হ্যালো জনতা ডট কম ।
hellojanata.com .

হ্যালো জনতার ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।।
কপি অ্যান্ড পেস্ট টু ইওর ব্রাউসার ।
https://hellojanata350.blogspot.com–

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।