Art& Artist : মাইকেলএঞ্জেলো’র যত ফ্রেস্কো আর স্থাপত্য-লেখা,সংগ্রহ-এমকে-মুসা কামাল।।

    ## A hellojanata.com Presentation  -- 

Art& Artist : মাইকেলএঞ্জেলো’র যত ফ্রেস্কো আর স্থাপত্য-লেখা,সংগ্রহ-এমকে-মুসা কামাল।।



# The Temptation of Saint Anthony –মাইকেল এঞ্জেলোর একটি চিত্র ,এটি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কিমবেল (Kimbell Art Gelary ) আর্ট গ্যালারিতে । #

ইটালির রোম শহরের মাঝেই ভ্যাটিকান সিটি । আলাদা এক দেশ । এ যেন দেশের ভেতরে আর এক দেশ । এখানে আইন আলাদা,চলে ইউরো,আলাদা সংবিধান, আলাদা অর্থ মন্ত্রনালয় । ভ্যাটিকানের জনসংখ্যা ১৫০০-১৯০০ – তারা সবাই নান , ধর্ম প্রচারক,যাজক, ভ্যাটিকানের সুইস গার্ড,অস্ত্রধারী(গোপনে) সুটকোট পরে কাল সানগ্লাস পরা নিরাপত্তা রক্ষী আর স্বয়ং পোপ এবং তাঁর অফিস । এই ভ্যাটিকান সিটি থেকেই পৃথিবীর সকল রোমান ক্যাথিলিক দের পরিচালনা করা হয় । ভ্যাটিকান সিটির মেইন হলের ভেতরে দৃষ্টি নন্দন সিস্টিন চ্যাপেল । এখানেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত সব আঁকিয়ে আর স্থাপত্যবিদদের সব আশ্চর্য কর্ম সমুহ- ফ্রেস্কো আর স্থাপত্য সমুহ ।এনাদের মধ্যে মাইকেলএঞ্জেলো , রাফায়েল , বত্তিচেলি প্রমুখ রা অনেকের মতই উল্লেখ যোগ্য ।




# ভ্যাটিকান সিটি

সেকালে রাজা রাজড়া দের প্রাসাদ সাজিয়ে গুঁজিয়ে তিলোত্তমা করার মানসিকতা ছিল,ছিল চেষ্টা । ভ্যাটিকান সিটির এই প্রধান অংশকে পাপাল ব্যাসিলিকাও বলে ডাকা হয়ে থাকে । এ ছাড়াও এটি সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকাও বলা হয় । এ ছাড়া মুল অংশটিকে সিস্টিন চ্যাপেল নামে ডাকেন প্রায় সকলেই । এটি সাজিয়ে গুছিয়ে তুলতে সময় লেগেছিল ১০০ বৎসরের বেশি ।হা,সেটি রেনেসাঁ কালের মধ্যে বটে ।

এই সময়টি ছিল ইউরোপের রেনেসাঁ যুগ । এই সময়ে অনেক নামি দামী আর গুণীগণ এখানে কাজ করেছেন । তাঁদের মধ্যে পেরুজ্জি , আন্তনিও দা সাঙ্গালে , রাফায়েল , ফ্রা জিওকন্দো , মাইকেল এঞ্জেলো অন্যতম ।তবে বলা চলে এখানে মাইকেল এঞ্জেলোর ছবি আর স্থাপত্যই বেশি বেশি । তিনি ছিলেন প্রধান শিল্পী । তিনি পোপের ডিক্রি লাভ করেছিলেন ।
আর এই সময়ে পৃথিবী নামক উপগ্রহে এসেছিলেন এক ক্ষণজন্মা শিল্পী রাফায়েল । রাফায়েল ছিলেন মাইকেল এঞ্জেলোর ছাত্র এবং এক মহান শিল্পী ।



# মাইকেল এঞ্জেলো ।

মাইকেল এঞ্জেলো সাধারনত ছবি আঁকতেন না । স্থাপত্য বানানো তাঁর প্রিয় ছিল ।
সে সময়ের পোপ মাইকেল এঞ্জেলো কে এখানে ছবি আর স্থাপত্য দিয়ে ভবনের ভেতরটিতে ছবি এঁকে আর সাজিয়ে,দৃষ্টিনন্দন করার আদেশ দেন । কিন্তু মাইকেল এঞ্জেলো ছবি আঁকতে অস্বীকার করেন । তিনি ছবি আঁকতে চাইতেন না ।
এর পরে শুরু হয় রটনা ! চারিদিকে রটনা চলে মাইকেল এঞ্জেলো ছবি আঁকতেই জানেন না ।
রটনা শুনে মাইকেল এঞ্জেলো রাগ করেন । তাঁর মনে এসে যায় জেদ ।পৃথিবীকে দেখাতে চাইলেন তিনি কি আঁকতে পারেন ! আর —–
মাইকেল এঞ্জেলো অনেকটা রাগ করেই আবার সমালোচনা কারীদের মুখ বন্ধ করার জন্য হলেও ছবি আঁকার দায়িত্ব নেন ।

এই ছবি গুলো আঁকার সময় তাঁর সাগরেদ/ছাত্র শিল্পী রাফায়েল সবসময় সাথে ছিলেন । ইতালির ফ্লোরেন্স থেকে উত্থান হওয়া মহান শিল্পী রাফায়েল কে কোন ক্রমেই ছোট করে দেখার কোনই উপায় নেই । তিনিও অনেক বড় এক আঁকিয়ে ছিলেন । তিনি দ্রুত ছবি আঁকতে পারতেন । প্রতিসপ্তাহে তাঁর একটি ছবি আঁকতেই হবে এমন একটি বিষয় ছিল ।তাঁর অনেক ছবি আছে ।তিনি এক সময় রোমের প্রধান শিল্প নির্দেশক হয়েছিলেন ।কিন্তু পৃথিবীর দুর্ভাগ্য রাফায়েল মাত্র ৩৭ বৎসর বয়সে মারা যান (৬এপ্রিল ১৫২০)।
এমনও শোনা যায় যে, এই ছবি গুলো আঁকার সময় মাইকেল এঞ্জেলো ছাদ থেকে দড়ি দিয়ে বাঁধা ঝুলন্ত কাঠের পাটাতনের উপর শুয়ে শুয়ে কাজ করতেন । এমনি করে নিকট দূরত্বে কাজ করতে করতে বা বয়সের চাপে শেষ বয়সে মাইকেল এঞ্জেলো অন্ধ হয়ে যান ।

তখনো ছাদের ফ্রেস্কোগুলোর কাজ শেষ হয় নাই । তাঁর সাথেই ছিলেন শিল্পী রাফায়েল সানজিও ।




# রাফায়েল – রাফায়েল সানজিও ।

রাফায়েল একই কায়দায় কাঠের উপর শুয়ে শুয়ে ছবির কাজ শেষ করেন ।
দেখতে পেতেন না ঠিকই মাইকেল এঞ্জেলো কিন্তু তিনি রাফায়েল কে নির্দেশ দিতেন পাঁশে বসে বা শুয়ে । রাফায়েল ঠিক তাই আঁকতেন । যেমন গুরু তেমন ছাত্র । ( আর এক লেখায় শুধু শিল্পী রাফায়েল কে নিয়ে এবং তাঁর চিত্র কর্ম সম্পর্কে লেখা হবে ।)
তবে মাইকেল এঞ্জেলো মারা যাবার আগেই তাঁর কাজ প্রায় শেষ করেছিলেন ।মাইকেল এঞ্জেলো মারা যান ১৫৬৪ সালে(মার্চ ৬, ১৪৭৫ – ফেব্রুয়ারি ১৮, ১৫৬৪)।

মাইকেল এঞ্জেলোর যে সমস্ত অনুপম হাতের কাজ সিস্টিন চ্যাপেলে দেখা যায় এবং প্রসিদ্ধ সে গুলি হল –দ্যা ক্রিয়েশন অফ অ্যাডাম,দ্যা পিয়েতা(ভাস্কর্য) , হ্যান্ডস অফ গড এন্ড অ্যাডাম,ডেভিড(ভাস্কর্য) ,দ্যা লাস্ট জাজমেন্ট প্রভৃতি ।


সারাটা সিস্টিন চ্যাপেল জুরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মাইকেল এঞ্জেলোর সমস্ত ছবি আর স্থাপত্য আর ভাস্কর্য সমুহ ।
একজন প্রকৃত শিল্পবোদ্ধার দিন চলে যায় অস্তরাগে তবুও দেখা শেষ হয় না । হা, ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘাড় ব্যাথা হয়েই যাবে । এটি সত্য ।


# সিস্টিন চ্যাপেলের ছাদ । সব ফ্রেস্কো ।

নিচে মাইকেল এঞ্জেলোর কয়েকটি ছবি আর স্থাপত্য’ ছবি দেওয়া হল ।


# দ্যা ক্রিয়েশন অফ অ্যাডাম , The Creation of Adam । বড় ফ্রেস্কো ।

# ফ্রেস্কো – দেয়ালে বা ছাদে আঁকা চিত্রের প্রাচীন রীতি ।


# ডেভিড । Devid । বড় স্থাপত্য । এটি ১৩ ফিট উচু ।
# মানুষের বানানো এত নিখুত মানব দেহ আর কোন কালেই কেউ বানাতে পারেন নাই , তবে চেষ্টার ত্রুটিও হয় নাই । কিন্তু সব চেষ্টাই বিফলে গেছে ।



# দ্যা লাস্ট জাজমেন্ট । The Last Judjement । ছাদে অঙ্কিত বড় ফ্রেস্কো । এখানে ৩০০ শত চেহারা এঁকেছেন মাইকেল এঞ্জেলো । এটির আয়তন ১২ ফিট বাই ১৪ ফিট ।



# সিস্টিন চ্যাপেলের ছাদ। পুরো টা জুড়েই বড় বড় সব ফ্রেস্কো ।


# সিস্টিন চ্যাপেলের উপরের ওই কক্ষটি ডানে রেখে সামনে এগিয়ে গেলেই বিভিন্ন গ্যালারিতে আর এদিক ওদিক দেখা যায় মাইকেল এঞ্জেলোর অনেক অনেক ফ্রেস্কো , চিত্র আর স্থাপত্য সমুহ । এ গুলো সবই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বুলেট প্রুভ গ্লাস দ্বারা সংরক্ষিত। এখানে সকলেই ঢুকতে পারেন । #
মাইকেল এঞ্জেলো সব ছবি এঁকেছেন বা ভাস্কর্য বানিয়েছেন মনের মাধুরি দিয়ে ।তিনি নিজের ‘পোটট্রেট ও এঁকে গিয়েছেন দেখুন নিচে ইতিহাসের এই মহান শিল্পীর নিজের বানানো নিজেরই পোটট্রেট—–



মাইকেল এঞ্জেলোর অনেক বেশী ফ্রেস্কো আর স্থাপত্য রয়েছে । আমরা এখানে সব দিতে পারিনি বলে অতৃপ্তি থেকেই গেল । সেই একই কারনেই আমরা দুঃখিত অবশ্যই ।

# একটি ‘এম কে ‘ সংগ্রহ ও লিখনি ~~



হ্যালো জনতা ডট কম ।
hellojanata.com .
# এখানে প্রকাশিত অধিকাংশ অকৃত্রিম লেখা আমাদের ব্লগে নিয়মিত সম্প্রসারিত হয় ।
কাজেই লেখা ডিলিটের কারনে লেখা এখানে না পেলে ব্লগে পাবেন ।
হ্যালো জনতার ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।।
কপি অ্যান্ড পেস্ট টু ইওর ব্রাউসার ।
https://hellojanata350.blogspot.com–






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।