Padma Bridge:স্বপ্নে ভরা সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু- লেখক খসরু আহমেদ খান ।

  ## A hellojanata.com Presentation  - 


Padma Bridge:স্বপ্নে ভরা সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু- লেখক খসরু আহমেদ খান ।





# আর মাত্র তিন দিন বাকি #

—————
# তাহাঁদের কথা । #
# ফিচার গ্রুপ পোস্ট #
# পদ্মা সেতু নিয়ে লেখকদের লেখা #


‘স্বপ্নে ভরা সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু’
– লেখক খসরু আহমেদ খান ।

” স্বপ্নে ভরা, সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু” বাস্তবে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে….!!!!
বাংলাদেশের জন্য, এই সেতু একটা স্বপ্নের সেতু, যেখানে এই দেশ, বিদেশী সাহায্য ছাড়া চলা,একটা কঠিন বিষয় ছিল, আজ সেই দেশ, নিজের টাকায় ৬.১৫ কিঃ মাইল লম্বা একটা সেতু তৈরী করতে পেরেছে , এটা কোন সহজ ব্যাপার নয়।

এই সেতু নিয়ে অনেক ইতিহাস আছে, আমি সেদিকে যেতে চাচ্ছি না।

দেশ আছে, দেশ থাকবে, দেশের উন্নতি হবে, এটাই হলো একটা স্বাভাবিক নিয়ম, দেশকে যারা মন থেকে ভালোবাসে দেশের উন্নতিতে তারা অবশ্যই খুশি হবে। আমাদের এই পদ্মা সেতু স্বপ্নের সেতু হলেও, অনেক দেশ আছে তাদের জন্য এই রকম সেতু তেমন কিছু না, বহিঃবিশ্বে নিজেদের টাকায় সেতু/ রাস্তা নির্মান করে থাকে, এটা কিন্তু জনগণের টাকা দিয়েই করা হয়, মানে জনগণের তহবিল এর টাকা খরচ করে, সেই খরচ এর টাকা,আবার সেই জনগনই ধীরে ধীরে পরিশোধ করে তহবিল পুরো করে দেয়, তার মানে হলো, ঐ সেতু/ রাস্তা দিয়ে পারাপার হতে হলে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করে তারপর পাড়ি দিতে হবে। কেউ এই টোল দিতে কোন ঝামেলা করেনা, ফাঁকি দেওয়ারও কোন সুযোগ নাই। একটা দেশ উন্নত হতে হলে সেখানে দরকার রাস্তা/ ঘাট/ সেতু, আর থাকে সাথে সঠিক পরিকল্পনা।

বাংলাদেশ এবার পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় সমাপ্ত করে সমস্ত বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে যেভাবে, ঠিক একই ভাবে দেশের সরকারের আগ্রহ জাগবে আরও অনেক কিছু করার। নতুন কিছু করতে গেলে সাময়িক ভাবে মানুষের অনেক অসুবিধা দেখা দেয়, কিন্তু যখন এই অসুবিধার মধ্যেও কাজ সমাপ্ত হয় এবং এর সুবিধা ভোগ করে, তখন সেই ফেলে আসা দিনের অসুবিধার কথা মানুষ ভুলে যায়।

তার জন্য দেশের অভিভাবক শক্ত হাতে হাল ধরতে হয় এবং সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে সামনে আগাতে হয়। এইতো আমাদের দেশে অনেক গুলো উড়াল সেতু হয়েছে, কাজের সময় মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিল না, বা অনেক যায়গায় ভোগান্তি হচ্ছে, কিন্তু এখন এই উড়াল সেতুর সুবিধা পেয়ে পিছনের সব কষ্টের কথা, মানুষ ভুলে গেছে বা ভুলে যাবে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ বা বাংলাদেশের মানুষ কোন দিন কল্পনাও করে নাই, এতো বড় পদ্মা নদীর উপর সেতু হবে, আর সেই সেতু দিয়ে গাড়ী নিয়ে মানুষ যাওয়া আসা করবে। তাইতো এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের সেতু। অনেক স্বপ্ন দেখে মানুষ, কিন্তু ঘুম ভেঙে, গেলে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায় কিন্তু এই পদ্মা সেতু স্বপ্নের হলেও বা ঘুম ভেঙে গেলেও বাস্তবে স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটবে। এইতো সামনে কয়েকটা দিন বাকী।

একটা লম্বা দৌড়ের প্রতিযোগিতা আছে, হাতে থাকে কাঠি একটা চক্কর দিয়ে অন্য একজনের কাছে দেয়, সেই কাঠি নিয়ে অন্য আরেকজন দৌড় শুরু করে, এভাবেই সেই দৌড় প্রতিযোগিতা ৪ জনে শেষ করে। এখানে আমার এমন উদাহরন টানার কারন হলো, সরকার আছে, সরকার আসবে, সরকার যাবে, কিন্তু সবার উচিৎ দেশ যে ভাবে এগিয়ে যায় সেই উদ্দেশ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। আমাদের দেশে কি নাই? সবই আছে, আমরা সবাই আন্তরিক হলে সবই করতে পারি।

সেই পদ্মা পাড়ের মানুষ তথা ২৪ টি জেলায় এই সেতু হয়ে আমজনতা যেতে পারবে, এখন থেকে ঐ সব জেলায় গড়ে উঠবে মিল কারখানা, ওখানে কত মানুষের কর্মসংস্থান হবে, পদ্মার ওপারের মালামাল অল্প খরচ এবং সময়ে চলে আসবে পদ্মার এপারে, মানুষের ফেরি পারাপারের ভোগান্তি কমে আসবে, বছরে কত মানুষের প্রান দিতে হয়, লঞ্চ ডুবিতে
তারপর কত সময় ব্যয় হতো মানুষের, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে মানুষ এই সমস্ত ঝামেলা থেকে অনেকটা মুক্তি পাবে। এই পদ্মা সেতু দিয়ে আসবে মংলা বন্দর/ পায়রা বন্দর এর মালামাল, অল্প খরচে পদ্মার এপারে চলে আসবে,আর এপারের মালামাল চলে যাবে ওপারে, এতে করে অনেক কিছুরই ভারসাম্য রক্ষা হবে। পদ্মার ওপারের অনেক মানুষ আছে, ঢাকায় বসে ব্যবসা বানিজ্য করে,পদ্মা সেতু চালু হলে তারা রাতে দেশের বাড়ি যাবে, আবার সকালে ঢাকায় ফিরে আসবে বা ২/১ দিন অবস্থান করে কাজ শেষ করে ঢাকায় আসবে। ঢাকায় কর্মরত আসপাশের জেলার মানুষ, ছুটির দিনগুলোতে দেশের বাড়িতে গিয়ে অনেক কাজ করতে পারবে, যাহা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, এছাড়া, ঢাকার কিছুটা হলেও যানজট কমবে।


এই একটা সেতুর কারনে, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উপর অনেক চাপ কমে আসবে, অনেক ব্যবসায়ীরা চাইবে অল্প খরচে পায়রা বন্দর কিংবা মংলা সমুদ্র বন্দরে মালামাল খালাস করতে। এখানে ব্যবসায়ীরা অনেক টাকা গুনতে হয়, সেই টাকা, ব্যবসায়ীরা মালামাল এর দাম বাড়িয়ে আমজনতার কাছ থেকে আদায় করে নেয়।

অনেক কৃষি পণ্য অল্প সময় ও খরচেই একটা সেতুর কারনে, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উপর অনেক চাপ কমে আসবে, অনেক ব্যবসায়ীরা চাইবেন অল্প খরচে পায়রা বন্দর কিংবা মংলা সমুদ্র বন্দরে মালামাল খালাস করতে। আমার দেখা, চট্টগ্রাম জেটিতে যায়গা না থাকার কারনে বহিঃনঙ্গরে দিনের পর দিন, জাহাজ অপেক্ষা করতে হয়, জেটিতে আসার অপেক্ষায় । এখানে ব্যবসায়ীদের অনেক টাকা গুনতে হয়, সেই টাকা, ব্যবসায়ীরা মালামাল এর দাম বাড়িয়ে আমজনতার কাছ থেকে আদায় করে নেয়। অনেক কৃষি পণ্য অল্প সময় ও খরচে পদ্মার এপারে আসবে এতে করে কৃষক পণ্য এর সঠিক দাম পাবে, কৃষি কাজ করতে আগ্রহ জাগবে। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে। এই সেতু দিয়ে হাজার হাজার গাড়ী যাবে, আবার আসবে, টোল দেবে, কয়েক বৎসরের মধ্যে এই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে সেতু প্রশাসনের হাতে আসবে আর তা দিয়ে তারা একদিকে সরকারের কাছ থেকে লোণ নেয়া ঋণ ( ১% হারে) পরিশোধ করবে অন্য দিকে সেতুর রক্ষনা বেক্ষন করবে । হা প্রমত্তা পদ্মার বুকে এমন সেতু রক্ষনাবেক্ষনের খরচ অনেক হবে – সেটিও মনে রাখতে হবে ।

আমাদের দেশ হাঁটি হাঁটি পা পা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশে অনেক কিছুই আছে যাহা অনেক উন্নত দেশেও নাই, তাহলে আমরা কেন পিছনে থাকবো? যে সমস্ত দেশের খনিজ সম্পদ আছে ঐ সমস্ত দেশ পিছনে থাকার কথা নয়, তবে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে সামনে যেতে পারলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সামনে এগিয়ে যাবো, এখন পদ্ধা সেতু হয়েছে, আগামীতে, আরও অনেক কিছু হবে। বিশ্ব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে, এই বাংলাদেশ সত্যি সত্যি সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হয়েছে।

সিলেট,সুনামগঞ্জ এলাকায় যে বন্যা চলছে , সে কারনে আমাদের মন খারাপ । তবুও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আমরা আমাদের জীবনেই দেখতে চাচ্ছি । বাংলাদেশী দেশী আর প্রবাসী , বিভিন্ন সংগঠন , ব্যক্তি কেন্দ্রিক, সেনাবাহিনী ,বিমানবাহিনী,নৌবাহিনী আর সরকার যে ভাবে মানুষ কে সাহায্য করছে বা করেই চলছে সে কারনে শুধু সাধুবাদ যথেষ্ট নয় ।
তবুও অশেষ ধন্যবাদ । আমাদের জন্য দোয়া চাচ্ছি । সকলের জন্য দোয়া করুন ।
একটি কথা বলে রাখি – এভাবেই এদেশের মানুষ একত্রিত হয়ে সব কিছুই করে থাকে । ৭১ থেকেই দেখছি ।
আর তাই সমবেত জনতা আর সরকার মিলে আগামী ২৫ তারিখ পদ্মা সেতু’র উদ্বোধন বলে দেবে নির্ভীক বাঙালি জাতির গল্প । এ গল্প পদ্মা পাড়ের মানুষের গল্প , এ গল্প বাংলাদেশের গৌরবের আর পারা না পারার গল্প ।
সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ্ হাফিজ।

খসরু আহমেদ খান।
সিলেট ।
২২ জুন ২০২২ ইং ।



খসরু আহমেদ খান ।
লেখক ।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার ।
হ্যালো জনতা ডট কম ।
hellojanata.com .

হ্যালো জনতার ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।।
কপি অ্যান্ড পেস্ট টু ইওর ব্রাউসার ।
https://hellojanata350.blogspot.com–

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবি-রবি ডাকুয়ার বিজয় দিবসের কবিতা ‘বিজয়ের জন্যে’।।

তাল বা খেজুর রসের বিকল্প, গোলফল দিয়ে হতে পারে রস গুড়-রবি ডাকুয়া ।।

কেন আমাদের এমন মাথা নিচু ছবি দেখতে হবে ? মুসা কামাল-সম্পাদক- হ্যালো জনতা .কম ।।