পোস্টগুলি

আবদুল হাকিম লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সব পেয়েছির দেশে’- ৩৮- বাল্টিমোর থেকে আবদুল হাকিম।

ছবি
  ## A hellojanata. com Presentation .  ‘সব পেয়েছির দেশে’- ৩৮- আবদুল হাকিম।। পাচ বছর কেটে গেল । আমরা ইউ এস সিটিজেনসিপ পেতে চলেছি । ভাবতেই একটা রোমাঞ্চ অনুভাব করি । আমাদের দেশের অধিকাঙশ মানুষের কাছেই এ এক স্বপ্ন । সেই স্বপ্ন খুব অনায়াসেই আমাদের ঘরে এসে উকি দিলো । মেইল বক্সে হাত দিয়েই পেয়ে গেলাম সিটিজেনসিপ ইন্টার্ভিউয়ের চিঠি । ইউরেকা । পাচ বছর পুরন হবার ছয় মাস আগেই আবেদন করার বিধান আছে । আমরা আর একদিনও দেরি করিনি । ছেলেটা দেশে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনে চলেছে । ছয় ছয় বারশো ডলার ফি জমা দিয়ে ঠিক সময় মতই আবেদন ঝেড়ে দিয়েছিলাম । কত সিন্‌সিয়ার । ঘরে বসেই সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেল ।  www.  hellojanata.com তবে ওরা কিন্তু এই সেবা এমনি এমনি দেয়নি । ঢাকা এম্বেসিতে যখন ভিসা ইন্টার্ভিউ দিয়েছিলাম তখন জনপ্রতি দিতে হয়েছিল বিশ হাজার টাকা করে ভিসা ফি । শুনেছি, ভিসা মন্‌জুর না হলে ওই টাকা না’কি আর ফেরত দেয়া হয় না । কথাটা আমার কাছে অবশ্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি । - তাইতো ! একটু ভেবে দেখলে বোঝা যায়, বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে প্রতিদিন স্রোতের মত মানুষ এই দেশে আসছে একটু উন্নত জিবনের আশা নিয়ে । এদেশের জিবন উন্নত সন্দেহ

বাঙলা বানানে ভাইরাস- ১৬ – আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  বাঙলা বানানে ভাইরাস- ১৬ – আবদুল হাকিম ।। প্রথম লেখা – ২০০৩ সঙস্করন – ২০২১।।  ভাষা চিরদিন এক রকম থাকেনি । যুগে যুগে আধুনিকায়ন হয়েছে । ভবিষ্যতেও হবে । জিবনের সব ক্ষেত্রে যদি আধুনিকায়ন হতে পারে, তবে ভাষার খেত্রে কেন নয় ? কবি হোমার বা মিলটনের ভাষা অথবা উপস্থাপনার সাথে গুন্টার গ্রাসের উপস্থাপনার পার্থক্যতো কিছু থাকবেই । চলচ্চিত্রের কথাই ধরা যাক । বিশ্ববরেন্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ” পথের পাচালি ” , আইজেনস্টাইনের ” ব্যাটলসিপ পটেমকিন ” বা হিচককের ” দি বার্ড ” ছবিগুলোর সাথে ” নো ম্যান্স ল্যান্ড ” ছবিটির তুলনা করলে বোঝা যাবে সময়ের সাথে সাথে চলচ্চিত্রের ভাষাও পরিবর্তিত হয় । ক্যামেরা, এডিটিঙ, চিত্রনাট্য বা মন্তাজের ব্যবহার, সব খেত্রেই যুগের সাথে হয়েছে আধুনিকায়ন । আধুনিকায়নের জন্য বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গিত শিল্পি দেবব্রত বিশ্বাস শান্তিনিকেতন কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছিলেন । হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ও হয়েছিলেন গোঁড়াদের কাছে বিতর্কিত । কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা বেসিদিন টেকেনি । আজ তাঁদের থেকে জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গিত শিল্পি ক’জন আছে ? কা’দের গান মানুষ বেসি শোনে ? রবীন্দ্রসঙ্গিতগুরু পঙ্কজকুমার মল্লিক, যার সামনে গান গ

‘সব পেয়েছির দেশে’- ৩৭- বাল্টিমোর থেকে আবদুল হাকিম।

ছবি
  ## A hellojanata.com Presentation . # #  ‘সব পেয়েছির দেশে’-  ৩৭-  বাল্টিমোর থেকে আবদুল হাকিম।। ‘সব পেয়েছির দেশে’- ৩৭- আবদুল হাকিম।। সকালে কাজে এসেই একসাথে কয়েকজন পুরনো কো-ওয়ার্কারের সাথে দেখা । কি ব্যাপার ! জানা গেল, ভেল্যু-সিটি বন্ধ হয়ে গেছে । ওরা এখানে জয়েন করেছে । আজ ওদের অরিয়েন্টেসন । অনেকটা কাকতালিয় ব্যাপার । মানে, বার্লিঙটনে লোকের দরকার, ওদের কাজের দরকার । অভিজ্ঞ এমপ্লয়ি, কাজ পেতে দেরি হয়নি । এখন মনে হচ্ছে ভেল্যু-সিটি ছেড়ে এসে ভুল করিনি । ক’দিন আগে এক পাকিস্তানি মেয়ে ক্যাসিয়ার হিসবে জয়েন করেছে । পুরো শরির কালো বোরখায় আবৃত । সুধু মুখটাই খোলা । বোঝা গেল সে একজন ধর্মপ্রান মুসলমান । এদেশে ধর্মিয় স্বাধিনতা ও স্রদ্ধাবোধ যে সত্যিই আছে, এটা তার একটা জলন্ত প্রমান । আমার মেয়ের বয়সি হলেও, একজন ধার্মিক হিসেবে আমি তাকে বেশ স্রদ্ধার চোখেই স্বাগত জানালাম । প্রথা অনুযায়ি নাম বিনিময় হল । ওর নাম আলিয়া । ও আগে কোথাও কাজ করেছে, সেই অভিজ্ঞতা বেশ ফলাও করে জাহির করার জন্য সদা ব্যস্ত । কাজের ফাকে বা অবসরে দু একটা ধর্মিয় কথাবার্তা বা উপদেশ পরামর্শ দেওয়াও শুরু করল । যখন ও জানতে পারলো আমি বাঙলাদেশি, ব্যা

বাঙলা বানানে ভাইরাস-১৫ - আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  ## A hellojanata.com Presentation.##  বাঙলা বানানে ভাইরাস ।।  -১৪ -  আবদুল হাকিম ।। প্রথম লেখা - ২০০৩  সঙস্করন - ২০২১    ১৫  এমনিভাবে স দিয়ে বাঙলা ভাষার প্রায় সব শব্দের উচ্চারন স ' র মতই হয় । পক্ষান্তরে কিছু বিদেশি শব্দ, যা বিদেশি ভাষা থেকে এলেও এখন সেগুলো আর বিদেশি শব্দের পরিচয়ে বসে নেই । বাঙলা ভাষার সাথে মিসে গেছে । আমরা বাঙলাতে তা বাঙলার মতই ব্যবহার করছি । যেমন , সিন , সিনেমা , সিভিল , সিমেন্ট , সিল্ক , সিট , সিল ইত্যাদি । এ সব্দগুলো উচ্চারন করতে গিয়ে কিনতু আমরা ছ ' ই উচ্চারন করছি । স নয় । যেমন , ছিন,   ছিনেমা , ছিভিল,   ছিমেন্ট ,   ছিল্ক , ছিট, ছিল ইত্যাদি । এই শব্দগুলোর স আর ছ’তে যে সামান্য উচ্চারনগত পার্থক্য আছে, তা ছ দিয়ে উচ্চারন করা সম্ভব । বিদেশ থেকে আগত কয়েকটি শব্দ ঠিক বিদেশির মত উচ্চারন করতে গিয়ে বাঙলার স অক্ষরটির সঠিক উচ্চারন বিকৃত না করলেই কি নয় ? একটা কথা মনে রাখা উচিত, একটি ভাষার উচ্চারন হুবহু অন্য ভাষায় উচ্চারন করা যায় না । কিছুটা পার্থক্য থেকেই যায় । তা’হলে ওই শব্দগুলোতে স ' র বদলে ছ ব্যবহার করতে বাধা কোথায় ? স ' র উচ্চারন যদি ছ ' র মত করতে

বাঙলা বানানে ভাইরাস-১৪ - আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  ## A hellojanata.com Presentation . ##  'বাঙলা বানানে ভাইরাস'- ১৪-  আবদুল হাকিম ।। বাঙলা বানানে ভাইরাস।। ১৪- আবদুল হাকিম ।। প্রথম লেখা – ২০০৩ সঙস্করন – ২০২১ এমন একটা পথ কি বের করা যায় না, যে পথে হাঁটলে উচ্চ শিক্ষিত, সাধারন শিক্ষিত আর অল্প শিক্ষিত সবাই একই বানানের দ্বারপ্রান্তে পৌছতে পারে । ব্যাকরন আর ধ্বনিতত্ব কি নিজেকে একটু ছাড় দিয়ে সবার জন্য সহজসাধ্য ও গ্রহনযোগ্য একটা পদ্ধতি আবিস্কার করতে পারে না ? বাঙলা একাডেমি কি এ ব্যাপারে কোন বৈপ্লবিক ভুমিকা নিতে পারে না ? কোন জটিল বা কঠিন শব্দ না । সহজ সরল আর সাধারন শব্দগুলোর কথাই বলছি । যেমন ধরুন – বাড়ি, গাড়ি, পাখি, জরুরি, তৈরি, সরকারি, রঙ, সাদা ইত্যাদি । কথাগুলো অনেকের কাছেই নতুন মনে হচ্ছে । হ্যা নতুনই । সমস্যা সমাধানে নতুন পদক্ষেপ নিতেই হয় । বিপ্লব কখনো মসৃন পথে আসে না । বন্ধুর পথ পার হয়েই নতুনের আগমন । ধুলো থেকে পা বাচাতে পুরো দেশের ধুলো ঝেটিয়ে বিদেয় করতে গিয়ে মহা বিপত্তি ঘটানোর চেয়ে মুচির পরামর্স মতো জুতো দিয়ে পা দুটো মুড়িয়ে নেয়াইতো বুদ্ধিমানের কাজ । যতদিন মুচির পরামর্স না নেয়া যাবে, ততদিন নিজের ভাষার নাম চার রকম, আর জাতির নাম ছয়

'সব পেয়েছির দেশে'- ৩৬- বাল্টিমোর থেকে আবদুল হাকিম।

ছবি
  'সব পেয়েছির দেশে'- ৩৬-   আবদুল হাকিম।  গড়ানো বিকেল । বোটে উঠে পড়লাম আমরা ঝটপট । আমরা যাকে বলি স্পিড বোট । আটজনের বসার ব্যবস্থা । হাল ধরে সামনে দাড়ালেন সেজভাই ডাঃ হাফিজ । একটু এগিয়েই স্পিড বেড়ে গেল । সামনেটা হয়ে গেল একটু উচু । পিছনটা গেল দেবে । দু'পাশে জলের অদ্ভুত ফোয়ারা ছিটিয়ে এগিয়ে চললাম আমরা সামনে । এ এক দারুন অনুভুতি । এদিক ওদিক ছোট বড় আরো দু’একটা বোট ছুটে চলেছে । কেউ আবার মাঝখানে দাড়িয়ে মাছ ধরায় ব্যাস্ত । লোকালয় অনেক পিছনে ফেলে আমরা একেবারে সমুদ্রের কাছাকাছি চলে এলাম । কিন্তু না । আর না । আবার ঘুরে গেল আমাদের বোট ।  একটু ফিরে আসতেই আমরা ঢুকে গেলাম অন্য একটা দিকে । গা ছমছম করা নিথর নির্জন এলাকা । পাড় ঘেষা ঠাসবুননি সবুজ বনবনানি । কিচিরমিচির পাখির উড়ে বেড়ানো । হাসের পালের স্বাধিন বিচরন । ওদের জন্য দারুন এক অভয়ারন্য । সেজভাই আমাকে বললেন, ইচ্ছে করলে তুমিও কিছুক্ষন চালিয়ে দেখতে পারো । যার গাড়ির ড্রাইভার’স লাইসেন্স আছে সেই বোট চালানোর দাবিদার । আমি চান্সটা ছাড়লাম না । হাত বদল হল । ছোটখাটো একটা ট্রেনিঙও হল । তেমন একটা কঠিন মনে হল না । আশে পাশে তেমন কেউ নেই । সান্ত জলরাশিতে আম

বাঙলা বানানে ভাইরাস-১৩- আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  বাঙলা বানানে ভাইরাস-১২-  আবদুল হাকিম ।। বাঙলা বানানে ভাইরাস।। আবদুল হাকিম।। ১৩- প্রথম লেখা – ২০০৩ সঙস্করন – ২০২১ আমার দৃষ্টি পড়লো মোট পাচটি অক্ষরের উপর । এগুলো হচ্ছে ঈ ঊ ণ ং শ । এই অক্ষরগুলো ব্যবহার করতে গিয়েই যত বিপত্তি । তা আমি এখন কি করব ? একবার মনে হলো অভিধান মানাইতো উচিত । কারন, অশুদ্ধ বানান কারো জন্যই কাম্য নয় । আবার অভিধান মানতে গিয়ে মনে হলো সময়ের স্রোতের কাছে পিছিয়ে পড়তে হবে । কারন, অভিধান তার নিজের সিদ্ধান্তে অটল । স্রোতের তোয়াক্কা সে করেনা । তার বড়সড় কলেবরটির বাইরে কি হচ্ছে, কি ঘটে চলেছে, তা সে দেখতে চায় না । সে অন্ধ । মনে হলো, বাঙলা ভাষা ধির গতিতে হলেও, নিরবে, অজান্তে আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে । যারা বিভিন্ন রকম বানান লিখছেন, তাদের ভিতর রয়েছেন গুনিজন । আবার রয়েছে দেশের নামকরা সব পত্র পত্রিকা । তবে অনেক খেত্রে অজ্ঞতাবসত বা ছাপার ভুলও হয়ে যায় । তবে যেভাবেই হোক, কাজ কিনতু থেমে নেই । চলছেই । কেউ বানান নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না । এমন একটা ভাব, বানানে কি এসে যায়, কাজ চললেই হলো । আমার কাছে মনে হলো, প্রতিটি বাঙালির ভাষাই বাঙলা । সবাই বাঙলায় কথা বলে । শোনে । লেখে । পড়ে ।