পোস্টগুলি

রেহমান রুদ্র লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এক্সক্লুসিভ *বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৭ * পুরানো বাড়ি * রেহমান রুদ্র।।

ছবি
  এক্সক্লুসিভ *বৈমানিকের পান্ডুলিপি * * ৭ *  *পুরানো বাড়ি * * রেহমান রুদ্র।। একটি আধুনিক নতুন এয়ারক্রাফটের রেটিং নিচ্ছিলাম। সহজ করে বলতে গেলে এভিএশিনের ভাষায় এয়ারক্রাফট চালানোর যোগ্যতা অর্জনে যে সার্টিফিকেট কতৃপক্ষ বইমানিকদের প্রদান করে ওটাই রেটিং। শরীরের উপর দিয়ে মাস দুয়েকের ধকল গেল। ট্রেনিং শেষ হবার পরে লম্বা ছুটি পেলাম। এটা পাওনা ছুটি। টিকেট আগেভাগেই কিনে রাখা ছিল। মধ্যপ্রাচের ছোট্ট এ শহর থেকে লন্ডন হিথরো বিমানবন্দর। ওখান থেকে স্বল্প যাত্রা বিরতির পর ক্যানাডার টরনটো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। ছুটির আমেজে ক্লান্তির চেয়ে যাত্রী হিসাবে ভ্রমনের আনন্দ উপভোগ করছিলাম। ইমিগ্রেশন অফিসারের দুএকটি প্রশ্নের জবাব দিয়ে ব্যাগেজবেল্টে অপেক্ষার পালা। অনেকসময় পার হওয়ার পরে সুটকেসের দেখা মিলল। কটা কুকুর নিয়ে কাস্টমস কতৃপক্ষ ব্যাগেজ সার্চের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ডগসার্চ থেকে আমিও বাদ পরলামনা। ঠাণ্ডার প্রকোপ শুরু হয়ে গেছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিমান ও টার্মিনালের তাপমাত্রা সবসময় কমফোর্টেবল রেঞ্জে থাকে। জার্নিতে হাতে বেশি জিনিস না নিতে চেষ্টা করি। নানাবিধ সিকিওরিটি সার্চে সময় বেশি লাগে। অনেক সময় দেখা

এক্সক্লুসিভ *বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৬ **উত্তর মেরুর ভাবনা ** রেহমান রুদ্র।।

ছবি
এক্সক্লুসিভ *বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৬ * *উত্তর মেরুর ভাবনা * * রেহমান রুদ্র।। ক্যানাডা থেকে কামরুল ভাই ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন। কোন একটি এয়ারলাইনের পাইলটবৃন্দ সম্প্রতি নর্থপোল ক্রস করেছে। খবরটা মোটামুটি সব মিডিয়াতে প্রচার করছে। ভাল খবর। কামরুল ভাই ও তার পরিবারের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। ওনার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে খুব গুছিয়ে কথা বলেন। অনেক চেষ্টা করেও বাংলা উচ্চারনে কোন ভুল ধরতে পারিনি। সাবলিল বাচনভঙ্গি। ওনার পাঠানো নিউয টি মনের খোরাক জুটিয়ে দিল। ভাবলাম আমার নর্থপোল ক্রস করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে মন্দ হয়না। ইউএস এর শিকাগোতে এসেছি একদিন হোল। শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এখানকার ঠাণ্ডা প্রায় অসহনীয়। দুই তিন লেয়ার করে সোয়েটার জ্যাকেট মাফলার গরম টুপি পরলেও হাড়ের ভিতরে ঠাণ্ডা গিয়ে লাগে। বেশিক্ষন বাইরে থাকা নিরাপদ নয়। স্নো পড়ে চারিদিকে একেবারে ধবধবে সাদা। যে হোটেলে উঠলাম ওটা থেকে মাত্র তিনশ মিটার সামনেই বেশ বড় এক সুপারমার্কেট। মেইন রাস্তা ক্রস করে যেতে হয়। স্নো র মধ্যে রাস্তা পেরোনো একটু চিন্তার বিষয়। মার্কেটে ঢুকে মনে হোল বেশিরভাগ কর্মচারীই মেক্সিকান। ফুড সেকশনে বিশাল যজ্ঞ। কেবল সালাদ বারে রয়েছে কমপক্ষে

এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৫ **হঠাৎ করে মালদ্বীপ। । ** রেহমান রুদ্র।।

ছবি
  এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৫ * *হঠাৎ করে মালদ্বীপ। । * * রেহমান রুদ্র।। বারো তলার রুফটপে চমৎকার সুইমিংপুল সাথে রেস্টুরেন্ট। মালদ্বীপের মেইনল্যান্ড মালে। ফ্রেশ অরেঞ্জ জুস আর সিফুড থাই রেডকারি সাথে জেসমিন রাইসের অর্ডার দিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে ভাবছি। চমৎকার মনোরম পরিবেশ। একজন দুজন করে কাস্টমার আসছে। অনেকে আবার পুল সাইডে খাবারের অর্ডার দিচ্ছে। সুন্দর এক দিন। নীল সাগরে যাত্রী নিয়ে বোটগুলো আইল্যান্ডের এপার ওপার ছুটছে।     হঠাৎ করে শিডিউল পড়ল। যাবার কথা ছিল ইউরোপের দিকে। চলে এলাম মালদ্বীপ। দীর্ঘদিন এভিএসনে কাজ করছি। মন আর শরীরে নতুন ইনফরমেশন সেট হয় তার নিজস্ব প্যাটার্নে। নানা দেশের ভৌগলিক অবস্থান ভিন্ন তার সাথে সময়ের কালও ভিন্ন। অসম পরিবেশ আর অচেনা মানুষের উপস্থিতিতে শরীরকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। গতকাল সকালেও জানতাম না আজ এখানে বসে এমন সুন্দর সমুদ্র দেখতে পাবো।         কাল রাতে যখন ডিউটি কল এল তখন ঘড়ির কাঁটা ঊর্ধ্বমুখী। মধ্যরাত। ঘুমের আড়স্বতা কাটাতে বিছানা ছেড়ে গরম পানির ফোয়ারার ঝাপটায় শ্যাম্পু করে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলাম। ডিউটি বদলে গেছে। মালদ্বীপ যাচ্ছি। ভালই লাগছি

এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৪ **ওরা বুঝে ফেলেছে । ** রেহমান রুদ্র।।

ছবি
  এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৪ * *ওরা বুঝে ফেলেছে । * * রেহমান রুদ্র।। মনোবিজ্ঞানের উপরে লেখা একটা জার্নাল পড়ছিলাম। মগজের নিম্নাংশে রয়েছে ইমশনাল সেনটার। মানব মনের কত রহস্য লুকিয়ে আছে এখানে তা অবাক করার মত। নানান বেস্ততার মাঝে দিন কাটছে। সপ্তাখানেক টার্গেট রেখেও জার্নালটি শেষ করতে পারলামনা। বিশেষ করে লম্বা ফ্লাইটের ধকল কাটাতে দিন পেরিয়ে যায়। হাজার হলেও মানুষের শরীর। হটাৎ করে ভ্রমনের ক্লান্তি মুছে ফেলা যায়না। সম্পর্কের টানাপোড়ন নিয়ে গবেষণাগুলো দৃষ্টি কাড়ে। প্রতিটি প্রানের স্পন্দন বাচিয়ে রাখে অজস্র চিন্তার ফল্গুধারা। মস্তিষ্কের ভাবনাগুলোকে গুছিয়ে নিতে পারলে জীবনটা সহজ হতে পারে। ছোটোখাটো বিষয় এড়িয়ে চললে অনেক কিছু থেকে রেহাই পাওয়া যায়। হৃদয় পরিমাপ করা সম্ভব নয়। জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তা নিয়ে ভাবাটাই সমীচীন। ক্ষমা মহৎ গুণ কথাটির মর্মার্থ উপলদ্ধি করা যায়। পাশের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। ফ্ল্যাটটা অনেক দিন খালি পড়েছিল। এই ফ্লোরে আর কেও থাকেনা। সুনসান নীরবতায় ভালই দিন কাটছিল। এমন শান্ত পরিবেশে সাহিত্য নিয়ে ভাবনা চিন্তার ব্যাঘাত ঘটেনা। এই কাপলটা আসার পর থেকে রাত বাড়লে মিউজিকের স

এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৩** আশঙ্কা ** রেহমান রুদ্র।।

ছবি
  এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ৩* * আশঙ্কা **  রেহমান রুদ্র।। ছোটবেলার বন্ধু কাইহান। দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কে থাকে। তার স্ত্রী রাহেলা ও একমাত্র মেয়ে নিরবধি। ফ্লাইট নিয়ে আসবো শুনে অনেক খুশি। ফোনে কদিন ধরে অজস্র কথা হল। রাহেলা কি রান্না করবে সে মেনু মুখস্ত হয়ে গেছে। অনেকদিন পর দেখা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই উভয় পক্ষের আগ্রহ অভিন্ন। এবারের যাত্রা জার্মানির শহর মিউনিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক। মিউনিকের আবহাওয়া বেশ চমৎকার। পনেরো ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আজ বৃষ্টি নেই। এর আগে যতবার এসেছি বৃষ্টি লেগেই ছিল। একবার শুরু হলে রেহাই নেই। ঝিরঝির করে সারাক্ষণ ঝরতেই থাকবে। সকালের কুয়াশা ভেদ করে পাচ কিলোমিটার হাঁটলাম। হোটেল লবিতে এক্সপ্রেস ব্রেকফাস্ট পাওয়া যায়। দুষ্ট ভাইরাসটার কারনে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া নিষেধ। অমলেট আর হেশব্রাউন সাথে ফ্রেশ অরেঞ্জ জুস আর কাপুচিনো। এটাই আজকের এক্সপ্রেস মেনু। লবির টিভি স্ক্রীনে আবহাওয়ার খবর। নিউ ইয়র্কে তুষার ঝড়ের সমূহ সম্ভাবনা। এ ধরনের আবহাওয়ায় ফ্লাই করার জন্য অনেক টেকনিকেল নলেজের প্রয়োজন হয়। বলা যেতে পারে পাইলটকে বেশ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হয়। রাতে এখান থেকে নিউইয়র্ক

এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ২* এখানেও মানুষ থাকে।** রেহমান রুদ্র।।

ছবি
  এক্সক্লুসিভ**বৈমানিকের পান্ডুলিপি * ২*  এখানেও মানুষ থাকে।  রেহমান রুদ্র। আজ স্ট্যান্ডবাই ডিউটি। ভোর ছটায় অ্যালার্ম দিয়েছিলাম। এ ধরনের ডিউটিতে কাজের ইউনিফর্ম বেগেজ পুরোপুরি রেডি থাকে। যে কোন সময় ফ্লাইটের জন্য ডাক আসতে পারে। আজ তাই হল। ওয়াসরুমে মনোযোগ দিয়ে দাঁতের পরিচর্যা করছিলাম। আমার এক অদ্ভুত অভ্যাস আছে। আয়নার দিকে তাকিয়ে ব্রাশ করা। তক্ষুনি মোবাইল ফোন বেজে উঠলো। হ্যাঁ কাজের ফোন। ডিউটি কল। “ক্যাপ্টেন তোমাকে বেইজিং ফ্লাইট অপারেট করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন্স সেন্টারে চলে এসো।“ বেইজিং হচ্ছে চায়নার বিখ্যাত এক শহর।এই শহর স্থাপিত হয়েছিল তিনহাজার বছর আগে। এটাকে তখন ‘ জিন সিটি’ বলা হত। ব্রেকফাস্ট করার আর টাইম নেই। ইউনিফর্ম গায়ে চাপিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে রাওনা হলাম। অপারেশন সেন্টারের পাশেই রয়েছে বেশ ভালো কফিশপ। প্ল্যান করলাম ওখান থেকে ব্রেকফাস্ট পিক করে নেবো। ওদের কফি বেশ চমৎকার। ফ্লাইট অপেরেশনে আমার সহকারী পাইলট বেইজিং ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সমস্ত কাগজপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। খুব দ্রুত ব্রিফিং শেষ করে মেডিকেল রুমে যেতে হল। ওখানে কোভিড উনিশের টেস্ট হবে। যথারীতি স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল

এক্সক্লুসিভ*বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি*১*- এলেক্সের প্রতি ভালবাসা। রেহমান রুদ্র ।।

ছবি
  এক্সক্লুসিভ*বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি*১*-  এলেক্সের প্রতি ভালবাসা।  রেহমান রুদ্র ।।   ফুজি মাউন্টেইন - জাপান ~~~ ফুয়েল সেভিং এর উদ্দেশ্যই ছিল প্রধান তাই চীনার উরুমকি শহর কে পেছনে ফেলে মঙ্গোলিয়া ঘেষে এগুচ্ছিলাম। নিচে মাটিতে মিলিটারি এরিয়া সুরক্ষিত। এজন্য আমদের ফ্লাইট পথের বেশ কটা শার্প টার্ন রয়েছে এখানে। প্রথম টার্ন নিতেই সামনে ওয়েদার রাডার এ বিদ্যুৎ আর বিজলিতে পরিপূর্ণ মেঘের বিশাল ওয়েদার প্যাটার্ন দৃষ্টিগত হল। বলা বাহুল্য এমন গভীর রাত আর আকাশে বিদ্যুত এর ঝলকানি ভয়ের কারন হতে পারে। মিলিটারি এলাকার কারনে আমাকে রুট এর বাইরে যেতে দিচ্ছিল না। শেষমেশ নিজের স্পেসাল ক্ষমতাবলে ওদেরকে নিরাপত্তার কারনে ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তনে বাধ্য করানো হল।এ এক অদ্ভুত টানাপোড়ন । নিচে রয়েছে গোলাগুলির ভয় আর উপরে ভীষণ মারদাঙ্গা ঝড় তুফান। আমি পৃথিবীর আর কোথাও এত মিলিটারি কন্ট্রোলের এয়ার স্পেস দেখিনি। এ ধরনের অবস্থাতে পাইলটকে কালার কোডিং ও অন্যান্য সিগন্যাল দেখে জানতে হয় কোন দিকটি ফ্লাই করা নিরাপদ। আমাদের গন্তব্য জাপানের টোকিয়ো সিটি। টোকিয়োর কাছাকাছি আসতেই সূর্যের আলো উঠি উঠি করছে । কি সুন্দর তার রূপ। ঝকঝকে আকাশে কাচা

‘বৈমানিকের পাণ্ডুলিপি’ ৩২'- স্পেনের ঘটনা- বাঙালি বৈমানিক রেহমান রুদ্র ।।

ছবি
  'স্পেনের ঘটনা' বাঙালি বৈমানিক রেহমান রুদ্র ।। তৎকালীন আন্দালুসিয়ার শহর যারাগোযা। এটা স্পেনের উত্তর পূর্বদিকের এক শহর। এই সময়টায় ইউরোপের সবখানে আবহাওয়া খারাপ থাকে। আজও তাই হল। বেলজিয়াম থেকে রাওনা দিয়ে এয়ারপোর্টের প্রায় ত্রিশ মাইল দক্ষিনে বিশহাজার ফুট উঁচুতে আকাশে একটি নির্দিষ্ট এরিয়াতে চক্কর দিচ্ছিলাম। এক্সপেরিয়ান্স থেকে বুঝতে পারি কোন অবস্থাতেই এখন এপ্রচ করা ঠিক হবেনা। ঐ মুহূর্তে ঝড়বৃষ্টি ঠিক রানওয়ের উপর দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছিল। ওয়েদার রাডার সিস্টেমে তখনো বিপদের সিগ্ন্যাল। ইউরোপের একটি এয়ারলাইন বোইং ৭৩৭ রানওয়েতে নামতে গিয়ে ঝড়ের মধ্যে বাড়ি খেয়ে দিশেহারা হয়ে কি করবে তা বুঝে উঠতে না পেরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সাহায্য চাইছিল। বিদ্যুৎ ঝলকানির কারনে কমুনিক্যাশনে শব্দ কেটে যাচ্ছিল। ওখান থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হাজার হাজার মাইল দূরে অপারেশন সেন্টারে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে খবর পউছে দিলাম। তাদের জানালাম আর কতক্ষন এমন রাগান্বিত আকাশে অপেক্ষা করতে পারবো। বিমানের জ্বালানি হিসাব করে রাখা পরিমানের কাছাকাছি আসলে এর মধ্যে যদি ল্যান্ড করা সম্ভব না হয় তবে ডাইভারসন নিয়ে অন্য এয়ারপোর্টে ল্