পোস্টগুলি

‘জীবন থেকে নেয়া’-আমার খোলা চিঠি — বনলতা বোস মোনা ।।

ছবি
  জীবন থেকে নেয়া--- আমার খোলা চিঠি - বনলতা বোস মোনা ।।  আমার আজকের চিঠি সকল পাঠক  বন্ধুদের উদ্দেশ্যে , তার প্রধান কারণ দেশে এক অস্থির সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে দূর্গা পূজা মহোৎসব কে কেন্দ্র করে , তার ই কিছু ভাবনা আমার এবারের লেখায় । কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারে  সবাই তো দায়ী নয় এই ঘৃণিত কান্ডে , তবে কেন এখানে লেখা ?? উত্তর হলো , " আমরাই দেশের বর্তমান , আমরা যদি নিজেদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ না করি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কে আমরা কি শিক্ষা দেব ?? বর্তমান হিসেবে আমাদের কাজ অসাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা  আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে। আমার সব লেখাই আমার জীবনের লেখা , এটাও আমার জীবন থেকে নেয়া ।  ভারতে থাকাকালীন আমার কাজের মেয়ের নাম ছিল রুখসানা , বোরকা পড়ে কাজ করতে আসতো । বোরকাটা ব্যালকনিতে ছেড়ে তারপর কাজ করতো । রুখসানার শুক্রবারের নামাজ টা আমার বাসায় পড়তো ঘরের এক কোনে পশ্চিম মুখী হয়ে । আমার একটা নতুন শাল ওর জন্য বরাদ্দ থাকতো , ওই শাল আমি কখনো গায়ে দেইনি । নাহ , কোন মুসলমান নামাজ পড়েছেন বলে না , ওটা ওর প্রার্থনার জন্য দরকারি কাপড় , তাই আমি সযত্নে রেখে দিতাম।  রুখসানার স

প্রজাপতি প্রেম_____ প্রজাপতি গল্প # নন্দিনী সাব রিনা খান।।

ছবি
  প্রজাপতি প্রেম_____ প্রজাপতি গল্প # --------------------------- নন্দিনী সাব রিনা খান।।  বরফাচ্ছন্ন জানালার গল্পটি....প্রজাপতি প্রেম , সে জানতো ।  রূপালী গিটারের গায়ে সেঁটে থাকা ... প্রজাপতি কষ্ট , কেউ জানেনি ...।।  অমীমাংসিত সবকিছুই....  প্রিয় শহর , দুরত্ব , সমাজ ,খ্যাতি , শ্রদ্ধা , যোগাযোগহীনতা অথবা  ------ কয়েক বছর পর যুগল হাতের পিঠে চুপচাপ গড়িয়ে পড়া অনাদি কালের লোনাজল ...।  একটাই শহর আমাদের ... শৈশব অথবা মেয়েবেলার পরিচিত রাস্তা ...  রাস্তার পাশ দিয়ে গিটার কাঁধে হেঁটে যাওয়া উড়ুখুড়ু যুবক ......  আহা ভালোলাগা ...।। ধুলো মেঘের জ্যোৎস্না ভ্রমন ...!!!!!!!!!!!!!!! সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ... মেয়েবেলাটা আপন সিদ্ধান্তের বৈরী সময় । অতঃপর LIFE GOES ON ...!! প্রকৃতিতে সব শুরুর ই শেষ আছে অথচ যা শুরু হয়নি তার শেষ বলেও কিছু নেই ... এ যেনো অমরত্ব প্রাপ্তি  "আমি তোমার প্রেমে হবো সবার কলঙ্কভাগী " ।  এতোসব বিধিনিষেধের বেড়াজাল ডিঙিয়ে তবুও ঢুকেছে বেনোজল ...আমুল ভেসেছে চরাচর ।  যুগল আঙুল ছুঁয়েছে হলুদ বিকেল ...... ফাগুন বাতাস ...মায়াবী সন্ধ্যা ...শিশিরের চাদরে ঘুমহীন রাত ...। রি

বাঙলা বানানে ভাইরাস-৪ ।। আবদুল হাকিম ।।

ছবি
  বাঙলা বানানে ভাইরাস-৪ ।। আবদুল হাকিম ।। প্রথম লেখা – ২০০৩।। সঙস্করন – ২০২১।। এবার একটু পিছন ফিরে তাকাই । এমন একটা সময় ছিল যখন গদ্য সাহিত্যের কথা কেউ ভাবতেও পারতনা । সাহিত্য বলতে ছিল সুধু পদ্য । কিনতু সময় বসে থাকল না । তার নিজস্ব তাগিদে গদ্যকে ঠিকই টেনে আনল । গদ্য সাহিত্যে সাধু ভাষাতো বটেই, তার উপর কঠিন দাতভাঙা বাঙলা লেখার প্রতিযোগিতা চলতে থাকলো বহুদিন ধরে । অবশেষে এলেন প্যারিচাঁদ মিত্র (টেকচাঁদ ঠাকুর) তার ” আলালের ঘরের দুলাল ” নিয়ে । প্রথমবারের মত তিনি ব্যবহার করলেন কথ্য ভাষা তার উপন্যাসে । ব্যাস । আর যায় কোথায় । হায় হায় । গেল গেল । সাধারন মানুষের মুখের ভাষায় সাহিত্য রচনা ! কথ্য ভাষায় উপন্যাস ! কি সর্বনাস ! সাহিত্যের মান একেবারেই ধুলোয় মিসিয়ে দিল ব্যাটা । ব্যাটাকে ধর । একঘরে কর । কিছুদিন চললো বাক-বিতন্ডা । কাদা ছোড়াছুড়ি । সময়ের সাথে সাথে যাদের বোঝার তারা ঠিকই বুঝলেন । আর গোঁড়াপন্থিরা আকড়ে ধরে রাখলেন তাদের গোঁড়ামিকে । স্বয়ঙ রবীন্দ্রনাথও বুঝেছিলেন ব্যাপারটা । তাইতো তার সাহিত্য সমুদ্রে সাধু ও চলিত দু’রকম ভাষার প্রয়োগই দেখা যায় । প্রথম দিককার লেখায় সাধু এবঙ পরে এসে চলিত । তিনি নিঃসন্দেহে

প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ১৫ ওকি গাড়িয়াল ভাই- আকরাম উদ্দিন আহমেদ ।।

ছবি
  প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়’ ১৫ -    # আকরাম উদ্দিন আহমেদ । ওকি গাড়িয়াল ভাই!! চিলমারী, কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত এলাকার একটি উপজেলা। এই উপজেলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি। এক সময় চিলমারী ছিল গরুর গাড়ির জন্য বিখ্যাত। এই গরুর গাড়িকে কেন্দ্র করে ভাওয়াইয়া ও পল্লীগীতির সম্রাট মরমি শিল্পী আব্বাস উদ্দিন চিলমারীর ঐহিত্যকে সামনে রেখে সুর মিলালেন- ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই, হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারী বন্দরে। সে সময় স্বনামধন‍‍্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ পল্লী অঞ্চলে গরুর গাড়িতে করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করতেন। তখনকার সময় বিয়ে মানেই কে কত বেশি গরুর গাড়ির দীর্ঘ লাইনের বহর নিয়ে আনতে যাবেন বাড়ির বউ। আর ঐ গরুর গাড়ির সঙ্গে থাকত "হিজ মাস্টার্স ভয়েস" কলের গান চালিত মাইক। ঐ মাইকের সুর ভাসত- ‘ যে দিন গাড়িয়াল উজান যায়, নারীর মন মোর  উইড়া রয় রে। ওকি গাড়িয়াল ভাই, হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারীর বন্দরে। গাড়িয়ালের পরনে থাকতো লুঙ্গি, গায়ে গেঞ্জি। আর মাথায় চিলমারীর গামছা। আধুনিক যানবাহনের বিস্তার লাভ এবং রাস্তাঘাট উন্নত হওয়ার কারণে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ির কদর কমেছে। পল্লীর পথে-প্রান্তরে এখনও কিছু গরুর গাড়ির দেখা মেলে। তবে

বিভিন্ন রকমের লীলায় ভরা ছিল নীলের খাস ।।মহসিন আলী মনজু ।।

ছবি
  ## A hellojanata.com Presentation .  ## বিভিন্ন লিলায় ভরা ছিল নীলের খাস ।।  নাম শুনে মনে হতে পারে নীল কর সাহেবদের  কোন খাস জমি অথবা তাদের রেখে যাওয়া কোন স্মৃতি চিহ্ন কিন্তু এর সাথে নীলকরদের কোন স্মৃতি জড়িত নয়। বিভিন্ন রকম লীলা খেলার জন‍্য কালক্রমে এর নাম হয়েছে নীলার খাস। খাসজমিটি ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি ছিল পাশ্ববর্তী গাওচুলকা বিলের একটি অংশ। বিল টি গভীর ও রহস্যময়তায় ভরা। বর্তমানে এটি সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত একটি শান্ত পুকুর।অতীতের কোন ক্ষমতাই এখন আর নাই।তবে প্রাচিন কালে পুকুরটি ছিলএ এলাকার মানুষের মাছের চাহিদা পুরন ও বিয়ে-সাদিতে প্রয়োজনিয় বাসনপত্র প্রাপ্তির স্হান। স্হানীয় বয়স্কদের কাছে শোনা যায় প্রাচীন কালে এ অঞ্চলের বিয়ে শাদীতে থালা বাসন প্রয়োজন হলে বিলের পাড়ে অবস্থিত একটি নিদিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত জোর করে অনুষ্ঠানের জন‍্য ব‍্যবহৃত থালা বাসন চাইলে তা ভেসে উঠে পুকুর পাড়ে একটি নিদৃষ্ট স্হানে জমানো থাকতো। সেখান  থেকে নিয়ে অনুষ্ঠান শেষে করে আবার ভালো করে পরিষ্কার করে ঐ আগের জায়গায় রেখে আসলে তা আপনা আপনি আবার বিলের গভীরে নেমে যেত। বিলে বিভিন্ন প্রক

বাঙলা বানানে ভাইরাস-৩ ।। আবদুল হাকিম।।

ছবি
  বাঙলা বানানে ভাইরাস-৩ ।। আবদুল হাকিম প্রথম লেখা – ২০০৩ সঙস্করন – ২০২১।। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার ওই পত্রিকাটিতে লিখেছেন, ” কিনতু আমি না মানলে কি হবে, পত্রিকার সম্পাদক, কম্পিউটারকর্মী সকলেই মেনে নিয়েছেন । বাঙালী বানান যতবার বাঙালী লিখি ততবারই দেখি সংশোধিত হয়ে গেছি । ” তার এই কথায় প্রমান হয় যে সময়ের সাথে সাথে ভাষাও সামনে এগিয়ে চলে । তাকে ঠেকিয়ে রাখা যায়না । কম্পিউটার কর্মিকে’তো ঈ-কারের পরিবর্তে ই-কার বসিয়ে দিতে কেউ গোপনে শিখিয়ে দেয়নি । এবঙ ওই কম্পিউটার কর্মি’র এই কাজের ফলে ” বাঙালী ” শব্দটি কিন্তু অজান্তেই ” বাঙালি ” রুপ ধারন করেছে । এজন্য কিনতু আমরা কেউ রাজপথে আন্দলনে নেমে পড়িনি । পক্ষান্তরে আমরা ওই বানানটিকে মেনে নিয়েছি । সব কম্পিউটার কর্মি’কে ব্যাকরন বিশারদ বানানো কি সম্ভব ? ভাষা বা বানান সময়ের সাথে সাথে তার নিজ গতিতেই এগিয়ে চলে । চলবে । তাই এই ” বাঙালি ” বানানটি ধরে রাখতে পারলে আমাদের জাতির বানান নিয়ে সব বিভ্রান্তি আর বিতর্কের অবসান হবে বলেই মনে হয় । বাঙলা বা বাঙালি শব্দ দু’টি আমরা উচ্চারন করতে গিয়ে খুব কম ক্ষেত্রেই বাঙ্গলা বা বাঙ্গালি উচ্চারন করে থাকি । বাঙ্গলা বা বাঙ্গালি

জয়তু বন্ধুত্ব ।। জীবন থেকে নেওয়া -৩ ---- বনলতা বোস মোনা ।।

ছবি
 জয়তু বন্ধুত্ব ।।  #জীবন_থেকে__নেয়া ৩ ।।</strong></blockquote> <strong>বনলতা বোস মোনা ।। </strong>  আমরা বাঙালি , আমাদের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ , কিন্তু কিছু কিছু সামাজিক নিয়ম সত্যিই আমাদের বিড়ম্বনার কারন , অনেকটা ভোগান্তির মতো। এরকম একটি বিড়ম্বনার নাম হোটেলে গেলে বিল কে দিবে অথবা আমাদের কে খাওয়াবে ? ? দেখা যায়  ৭-৮ জন বন্ধুর আড্ডায় যদি খাওয়া দাওয়া হয় , তাহলে দেখি এক বা দুই বন্ধু মিলে বিলটা দেয় । আমার এই জিনিসটা পছন্দ নয় ।  আমি প্রচুর বাইরে খাই বা খেতে হয় কারন এটা একটা বন্ধু বান্ধবীদের সাথে রিলাক্সেশন এর মতো । রেস্টুরেন্টে গেলাম , সেখানে গল্প গুজব করতে করতে কিছু ভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া , আড্ডায় মেতে ওঠা , বন্ধুদের সাথে সপ্তাহান্তে বা পনের দিনে একদিন  দেখা হ ওয়া বেশ মজার ব্যাপার ।  কিন্তু বিল নিয়ে কোন সমস্যা নেই। পাঁচ বন্ধু মিলে ব্রেকফাস্ট করতে গেলাম , যত ই বিল আসুক পাঁচ জনে সাথে সাথে ভাগ করে দেই ।  এতে দুটো জিনিস হয় , প্রথমত, কোন একজনের উপর লোভটা পড়ে না , কারন যে দিচ্ছে সে ও তো আমার বন্ধু । ওর উপর চাপ পড়লে আমার ও তো ভালো লাগবে না , বরং বন্ধু হ